দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশের এখনো ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর (পিপিইর) এতো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘চীনে যখন করোনাভাইরাস ধরা পড়েছিল, তখন তাদের কাছেও পিপিই ছিল না। এখনো আমাদের পিপিই অতটা দরকার নেই।’

সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশেও। বাংলাদেশে ক্রমেই বেড়ে চলছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ইতিমধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দুইজন। দিন যত যাবে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ততই বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

করোনা ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক এবং রোগীর সেবায় নিয়োজিতদের সুরক্ষা সরঞ্জামের সংকট প্রকট হচ্ছে। চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সুরক্ষা সরঞ্জামের সংকট কাটাতে ইতিমধ্যে পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বা বিশেষ সুরক্ষিত পোশাক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে পে ইট ফরোয়ার্ড, মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, বুয়েট অ্যালামনাইসহ আরও দুটি সংগঠন।

তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, বর্তমানে দেশে পিপিইর এতো প্রয়োজন নেই। সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনও বলছি প্রস্তত আছি। কোন মিথ্যা আশ্বাস আমরা দেই না। এখনও পিপিইর অত প্রয়োজন নেই।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চীনে যখন করোনাভাইরাস ধরা পড়েছিল, তখন তাদের কাছেও পিপিই ছিল না। এখনো আমাদের পিপিই অতটা দরকার নেই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ল্যাব আমাদের আাছে, কিন্তু এখন বাড়তি ল্যাব করছি। কাজেই কোন ল্যাবের টেস্ট বাদ নেই। ইতোমধ্যেই (করোনা) ২৫০ টেস্ট করা হয়েছে। এখন একে অপরকে ব্লেইম করলে হবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে মোট ১৮ হাজার মানুষ সেলফ কোয়ারেস্টাইনে আছেন বলে জানান তিনি।

কোরিয়াতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাঝে করোন ছড়িয়েছে জানিয়ে এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৩মার্চ,২০২০)