দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বিরলে রুপালী বাংলা জুট মিলে তিন সপ্তাহের বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনকারী শ্রমিকের ওপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় এক পান দোকানদার নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ শ্রমিক গুলিবৃদ্ধ হয়েছে।

বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই গুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে কমপক্ষে আরো ১৫ শ্রমিক আহত হয়েছে।

নিহত পান দোকানদারের নাম সুরত আলী (৪০)। তিনি বিরল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের হুসনা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

গুলিবৃদ্ধ ২ জনকে বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ১ জনকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এই ঘটনায় আহত হয়েছেন শ্রমিক রাজ কুমার, রায়হান ও ইব্রাহীম। এদের মধ্যে রাজ কুমারকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে এবং রায়হান ও ইব্রাহীমকে বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, মিলের মালিক বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ। করোনার কারণে মিল বন্ধ হয়ে যাবে- এমন খবরে বিকাল থেকে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় মিল কর্তৃপক্ষ পুরো বকেয়া বেতন দিতে গড়িমসি শুরু করে। শ্রমিকদের কারো ৪ সপ্তাহের কারো ৩ সপ্তাহের বেতন বকেয়া রয়েছে। মিল কর্তৃপক্ষ ৫ দিনের বেতন দিতে চায়, আর শ্রমিকরা মিল বন্ধের আগে পুরো বকেয়া বেতন চায়। এ নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এক পর্যায়ে মালিকপক্ষ কোন বেতন দিবে না বলে জানালে শ্রমিকরা রাত ৮টার দিকে ভাঙচুর শুরু করে। মালিকপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবৃদ্ধ হয়ে সুরত আলী মারা যায়। গুলিবৃদ্ধ হয় আরো ৩ জন। পুলিশের লাঠিচার্জে আরো ১৫ শ্রমিক আহত হয়।

বিরল থানার ওসি শেখ নাসিম হাবিব একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৬মার্চ,২০২০)