সিলেট প্রতিনিধি: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে বসবাসরত নিম্নমধ্যবিত্ত যেসব পরিবার বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন তাদের একমাসের ভাড়াও মওকুফ করার জন্য বাড়িওয়ালাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বাড়িওয়ালারা যদি একমাসের ভাড়া মওকুফ করেন তাহলে সিটি কর্পোরেশন তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মাসের পানির বিল মওকুফ করবে। আর কেউ যদি এই দুর্দিনে মানুষের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করেন তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বস্তির এবং বাসাবাড়ির মালিকদেরকে ভাড়াটিয়াদের একমাসের ভাড়া মওকুফের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এই মুহূর্তে সবার উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে গরিব, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমরা যদি বস্তিবাসী ও নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাসের ভাড়া মওকুফ করি তাহলে এই দুর্দিনে কিছুটা হলেও তারা স্বস্তি পাবেন।

ভাড়া মওকুফের পাশাপাশি দারিদ্রপীড়িত শ্রমজীবী নিন্মআয়ের মানুষের জন্যে খাদ্যদ্রব্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সিলেটের বিত্তবান ও প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এক্ষেত্রে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মালিকদের জন্যে সংশ্লিষ্ট মাসের পানির বিল মওকুফেরও ঘোষণা দেন তিনি।

মেয়র সমাজের বিত্তবানদের উদ্দেশে বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে সবাইকে সহযোগিতা করা সম্ভব নয়, এই বিবেচনায় প্রতিটি ওয়ার্ডের বিত্তশালীরা যদি নিজেদের পাড়া মহল্লায় নিজেদের সামর্থ্য মোতাবেক গরিব প্রতিবেশীদের সহযোগিতা করেন তাহলে সমাজের অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

মেয়র জানান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে শ্রমজীবী অসহায় মানুষের জন্য খাদ্য ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ফান্ডে নিজের একমাসের সম্মানীভাতা প্রদানের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মেয়র উল্লেখ করেন, শুধু তিনি একা নন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কাউন্সিলরও তাদের সম্মানীর একটি অংশ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে প্রায় ৬০ হাজারের মতো বস্তি রয়েছে। আর এইসব বস্তিতে গড়ে প্রতি পরিবারের রয়েছেন ৪ জন সদস্য। সেই হিসেবে শুধু বস্তিতে প্রায় আড়াই লাখের বেশি বাসিন্দা আছেন। এগুলোতে শুধু নিম্নআয়ের মানুষ বসবাস করেন। তাদেরকে ৭ দিনের খাবার সরবরাহ করার জন্য আমরা কাজ শুরু করেছি। এমনকি আমরা জেলা প্রশাসকের কাছেও আবেদন জানিয়েছি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩১মার্চ,২০২০)