দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রায় ৪৫ বছর আত্মগোপনে ছিলেন মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ। করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু যখন থমকে গেছে তখনই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এ খবর জানানো মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি।

জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর পৌনে চারটার দিকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে পুলিশের সন্দেহ হয়, এরপর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি তার নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন এবং তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে তাকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ পরিদর্শক (নি.) জহুরুল হক। তিনি আবদুল মাজেদকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোর পৌনে চারটার দিকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে সন্দেহজনকভাবে রিকশায় করে যাওয়ার সময় আবদুল মাজেদকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি তার নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন। স্বীকার করেন, তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। দীর্ঘদিন গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আত্মগোপনে ছিলেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন তিনি।

আবদুল মাজেদ ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো পর্যন্ত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) জুলফিকার হায়াত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৭এপ্রিল,২০২০)