দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কালের কণ্ঠ পত্রিকার একজন ফটো সাংবাদিকের কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে। আর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষ ওই কর্মী যে ইউনিটে কাজ করতেন, সেই পুরো ইউনিট রোববার লকডাউন করে। একই সঙ্গে ওই কর্মী সর্বশেষ কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার দিনে আরেকটি ইউনিটের সহকর্মীদের সংস্পর্শে যাওয়ায় ওই ইউনিটও লকডাউন করা হয়েছে। আগে থেকেই ওই দুই ইউনিট আলাদাভাবে সংরক্ষিত কক্ষ হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছিল।

জানা যায়, আক্রান্ত ওই দুই ইউনিটসহ পুরো অফিস জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওই দুটি ইউনিটের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষণিক ওই ফটো সাংবাদিকের খোঁজ খবর রাখছে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

আক্রান্ত ওই কর্মী আইইডিসিআরের পর্যবেক্ষণে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। উপসর্গ ও পরিস্থিতি অনুসারে তাকে প্রয়োজন হলে হাসপাতালে নেয়া হবে বলেও আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তার সংস্পর্শে থাকা অন্যদেরও আজ পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষ।

আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভার ক্লিনিকে তারা নমুনা পরীক্ষা করাবেন।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানে কেউ আক্রান্ত বলে শনাক্ত হলে তিনি যদি কোনো আলাদা কক্ষে থেকে থাকেন, তবে সেই কক্ষ এবং তিনি যেখানে বা যাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, সেই অংশটুকু সাময়িক বন্ধ করে তা জীবাণুনাশক দিয়ে ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করলেই চলে। পুরো প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা লকডাউনের প্রয়োজন নেই। যদি বেশি সংখ্যকের সংক্রমণ ধরা পড়ে, তবে পুরো বা যদি নিশ্চিত হওয়া যায় যে আক্রান্তরা কোনো স্থাপনার বেশির ভাগ অংশের সংস্পর্শে ছিলেন, তবে পুরো ফ্লোর বা স্থাপনা জীবাণুমুক্ত করার প্রয়োজন পড়ে এবং সবার কোয়ারেন্টিনের প্রশ্ন আসে।

কালের কণ্ঠ প্রশাসনিক বিভাগ সূত্র জানায়, ওই ফটোসাংবাদিক আগেও এক দফা মৃদু উপসর্গ নিয়ে ১৯ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। পরে গত মঙ্গলবার তিনি কিছু সময়ের জন্য কর্মস্থলে আসেন। তখন তিনি শরীরে জ্বর অনুভব করলে অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত বাসায় পাঠিয়ে দেয়। তার দু’দিন পর হটলাইনে ফোনকলের মাধ্যমে তিনি করোনা পরীক্ষা করানোর পর তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৭এপ্রিল,২০২০)