দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ইতিহাসে শুরু থেকে এই যাবত কালের সবচেয়ে ভয়াবহ স্মৃতি হচ্ছে নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের বন্দুক হামলা। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে সেদিন বেঁচে এসেছেন লিটন দাস ছাড়া টাইগার স্কোয়াডের বাকী সবাই। নিশ্চিতভাবে ভাগ্যদেবতা পাশে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের।

তবে টাইগারদের এই হামলা থেকে বেঁচে যাওয়ার পেছনে অনেক বড় কৃতিত্ব আছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাইজুল ইসলামের। মাহমুদউল্লাহ সেদিন প্রেস কনফারেন্সে স্বাভাবিকের চেয়েও ৫ মিনিট বেশি সময় নিয়েছেন। আর তাইজুল খেলার মাঠে মুশফিকের সঙ্গে অয়ান টু ওয়ান ফুটবল ম্যাচে হার মানতে রাজি না হওয়ায় খেলে গেছেন নির্দিষ্ট সময়ের চেয়েও ৩-৪ মিনিট বেশি। আর তাতেই শাপেবর হয়েছিল টাইগার ক্রিকেট টিমের জন্য।

কারণ তামিম সেদিনের ঘটনা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, আর ১-২ মিনিট হেরফের ঘটলে মারা পড়তে হতো তাদের। তামিমের ভাষ্যে, ‘সেদিন মসজিদে যদি আমরা আর ১ বা ২ মিনিট আগেও পৌঁছে যেতাম, তাহলে হয়ত সে আক্রমণের শিকার হতাম আমরাও।’

এরপর তাইজুলকে ধন্যবাদ দিয়ে তাঁর ঘাড় ত্যাড়ামির (হার মানতে না চাওয়ার প্রবল ইচ্ছা) বিষয় সামনে এনে তামিম আরও যোগ করেন, ‘তাইজুলের সবার থেকে একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য। কারণ, তাইজুল যদি নিউজিল্যান্ডে না থাকতো। আর যদি নিজের স্বভাবসুলভ ঘাড় ত্যাড়ামি না করতো, তাহলে একমাত্র লিটন দাস ছাড়া আর কেউ বেঁচে থাকতো না। কারণ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের সেই হামলার সময় লিটন ছিল হোটেলে। আর আমরা সবাই মসজিদে যাওয়ার পথে কিছুটা দেরি করেছিলাম তাইজুলের বদৌলতে।’

এরপরে তাইজুলের বিষয়ে মজা করে আরও যোগ করেন তামিম, ‘তাইজুলের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হল, সে কোনোভাবে হার মানতে চায় না। তো নিউজিল্যান্ডে সেদিন আমরা মসজিদে যাওয়ার আগে তাইজুল ও মুশফিক নিজেদের মধ্যে একটা ফুটবল ম্যাচ খেলছিল। যেখানে ওরা বাড়তি ৩-৪ মিনিট খেলেছে। আর বিশ্বাস কর, তাইজুল তুই না থাকলে আমরা কেউ বেঁচে ফিরতাম না হয়ত।’

এই কথার সাথে মুমিনুলও যোগ করেন, ‘ভাই সেখানে যদি সে ঘাড় ত্যাড়ামি না করতো তাহলে আমরা বাঁচতাম না।’

এরপরে নিজের কান্ড-কীর্তি নিয়ে তাইজুল নিজেই বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া সেদিন আল্লাহ না চাইলে হয়ত কিছুই হইতো না। আর আপনারা তো জানেন ভাই, ঘাড় ত্যাড়ামি আমার রক্তে আছে। যেমনেই হোক আমার জিততে হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৭মে, ২০২০)