দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’র প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখভাগে থাকায় উপকূলীয় ১৪ জেলায় চার থেকে পাঁচ ফুট বা তার বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ সোমবার (১৮ মে) বিকেলে জানান, ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০-১৬০ কি. মি. বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানান তিনি।

ঘূর্ণিঝড়টি খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মে) শেষরাত থেকে বুধবার (২০ মে) বিকেল অথবা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৮মে, ২০২০)