দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণসংহারি ভাইরাস করোনায় তাণ্ডব চলছেই। প্রতিদিনই হাজারো মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। মৃত্যুর সংখ্যাও প্রতিদিন বেড়েই চলছে। ভাইরাসটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে। বাংলাদেশেও থেমে নেই ভাইরাসটির তাণ্ডব। বাংলাদেশেও প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে অদৃশ্য ভাইরাসটিতে।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত একদিনে বিশ্বে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি। গতকাল সারাবিশ্বে এক লাখ ১৯ হাজার ৪৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪৯৬৪ জন। একই সময়ে এক লাখ ৭ হাজার ৬৫ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৩০ লাখ ১০ হাজার ৪৮৩ জন।

করোনাভাইরাস নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এই তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৮২ হাজার ৩৬৮ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ৯৩৯ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়েছেন ৩০ লাখ ১০ হাজার ৪৮৩ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীন থেকে এই মহামারি শুরু হলেও ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাণ্ডব চালিয়েছে করোনাভাইরাস। এখন এর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে রাশিয়া, ব্রাজিল ও ব্রিটেন।

আক্রান্ত ও নিহতের সংখ্যায় সবার ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ লাখ ৮১ হাজার ২০৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৮ হাজার ৫৯ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৪ জন।

আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৭ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজার ৩০৯ জনের।

রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২৩ হাজার ৭৪১ জন, মৃত্যু হয়েছে ৫০৩৭ জনের। স্পেনে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৭ হাজার ১২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১২৭ জনের।

মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৯ হাজার ৩৬৯ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৮৫ জন। এছাড়া ইতালিতে মারা গেছেন ৩৩ হাজার ৫৩০ জন।

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস করোনা মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৩জুন, ২০২০)