দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ শনাক্তের দৈনিক সংখ্যা প্রথমবারের মতো ৩ হাজার অতিক্রম করে গত ৯ জুন। এর পর থেকে দুই সপ্তাহের বেশি ধরে তা ৩ হাজারের ওপরেই রয়েছে, ব্যতিক্রম শুধু ১৩ জুন। এর মধ্যে একদিন তা ৪ হাজারও অতিক্রম করে যায়। সাড়ে ৩ হাজার অতিক্রম করেছে চারদিন। গতকালও সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষের কভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়ার খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৮ হাজার ৪৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করে মোট ৩ হাজার ৮৩৮ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্তকৃত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪-এ।

তিনি আরো জানান, এ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে নতুন করে আরো ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৬৬১। এ সময়ের মধ্যে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে পুরুষ ও নারী রয়েছেন যথাক্রমে ৩১ ও নয়জন।

মৃতদের ৩১ জনই মারা যান হাসপাতালে। বাকি নয়জনের মৃত্যু হয় বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন ১৪ জন। এর বাইরে এ ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ১২ জন, খুলনার চার, বরিশালের চার, রংপুরের তিন ও সিলেট বিভাগের তিনজন বাসিন্দা রয়েছেন।

বুলেটিনে জানানো হয়, এ ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৬১-৭০ বছর বয়সসীমার রোগী ছিল সবচেয়ে বেশি, ১৪ জন। ৫১-৬০ বছর বয়সসীমার রোগী মারা গিয়েছেন ১২ জন। এছাড়া এ সময় ৮১-৯০ বছর বয়সসীমার একজন, ৭১-৮০ বছরের তিন, ৪১-৫০ বছরের ছয়, ৩১-৪০ বছরের তিন ও এক থেকে ১০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরো ১ হাজার ৬৩৮ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে বুলেটিনে জানান অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট ৫৩ হাজার ১৩৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৭২ শতাংশ।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে ঢাকা মহানগরীতে কভিড-১৯-এর চিকিৎসার জন্য বিশেষভাবে নিয়োজিত হাসপাতাল রয়েছে ১৬টি। ঢাকা জেলায় রয়েছে আরো একটি হাসপাতাল। ঢাকা মহানগরীতে কভিড রোগীদের জন্য হাসপাতালের সাধারণ শয্যা আছে ৫ হাজার ৭০৯টি। আইসিইউ শয্যা আছে ২৭৪টি। সারা দেশে সব মিলিয়ে এ রোগে আক্রান্তদের জন্য সাধারণ শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ৫৮৬টি। আইসিইউ শয্যা আছে ৪৭৩টি। হাসপাতালগুলোয় মোট অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে ১০ হাজার ৫২৫টি। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা আছে ৭৭টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর আছে ৭২টি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৭জুন, ২০২০)