দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ঐতিহাসিক লিগ জয়ের  পর প্রথমবারের মতো আগামী শুক্রবার (২ জুলাই) ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে আগের দুইবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন সিটি অ্যালিসন-ফন ডাইকদের চ্যাম্পিয়নের গার্ড অফ অনার দেবে কিনা সেটি নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। তবে সিটি ম্যানেজার গার্দিওলার সংবাদ সম্মেলনের পর সব শঙ্কা উবে গেছে। ইতিহাদে অলরেডদের অর্জনকে গার্ড অফ অনার দেওয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মান জানাবে সিটিজেনরা।

নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে এফএ কাপ কোয়ার্টার ফাইনলে নামার আগে গতকাল শনিবার নির্ধারিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন গার্দিওলা। সেখানে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করার সঙ্গে সঙ্গেই সিটি ম্যানেজারের অকপট উত্তর, ‘অবশ্যই আমরা গার্ড অফ অনার দেব। আমরা দারুণভাবে লিভারপুলকে আমাদের মাঠে অভিনন্দন জানাব। আমরা গার্ড অফ অনার দেব কারণ এটা তাদের প্রাপ্য।’

গার্ড অফ অনার দেওয়াটা রীতি হলেও দিতেই হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধ্যকতা নেই। যে রীতির শুরু হয়েছে ১৯৫৫ সালে। চেলসিকে গার্ড অব অনার দেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। যেই ধারাবাহিকতা অব্যহত রয়েছে ১৯৯১ সালেও। যখন দুর্দান্তভাবে লিগ জয়ের কারণে আর্সেনালকেও গার্ড অব অনারে ভূষিত করে ম্যান ইউ।

২০০৫ সালে প্রিমিয়ার লিগ জেতায় চেলসিকে ফের গার্ড অব অনার দেয় রেড ডেভিলসরা। এর বিপরীতে ২ বছর পর, অর্থাৎ ২০০৭ সালে ম্যান ইউ কে গার্ড অব অনার দেয় চেলসি। এছাড়া গুডিসন পার্কে ২০০৩ সালে ম্যান ইউ-কে গার্ড অব অনার দেয় এভারটন। ২০১২-১৩ মৌসুমে ইউনাইটেডকে গার্ড অব অনার দেয় দেয় আর্সেনাল।

এছাড়া ২০১৫ সালে স্টামফোর্ড ব্রিজে চেলসিকে গার্ড অব অনার দেয় লিভারপুল। শুধু দল নয়, ব্যক্তিগতভাবেও গার্ড অব অনার দেয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে। নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে স্যার আলেক্স ফার্গুসনকে গার্ড অব অনার দেয় ম্যান ইউ এবং সোয়ানসি সিটি- উভয় দলের খেলোয়াড়রা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৮জুন, ২০২০)