দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: লোকসান দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য প্রায় ২৫ হাজার পাটকল শ্রমিককে ধারাবাহিকভাবে স্বেচ্ছা অবসর বা গোল্ডেন হ্যান্ডশেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশের পাটকলগুলোতে অব্যাহত লোকসানের ফলে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

রবিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘পাটকলগুলোতে লোকসান হচ্ছে, এজন্য সরকার চিন্তা করেছে শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দিয়ে এই খাতকে এগিয়ে নিতে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘পাটকল শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দেয়ার পর সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে পাটকলগুলোকে আধুনিকায়ন করে উৎপাদনমুখী করা হবে। তখন এসব শ্রমিক সেখানে চাকরি করার সুযোগ পাবেন।’

তবে কবে সেই সুযোগ হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘পাটকলগুলোতে ২৪ হাজার ৮৮৬ জন স্থায়ী কর্মচারী রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে শ্রমিকদের চাকরির অবসান করতে।’

সচিব আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পাটকলগুলোতে ২০১৩ থেকে এ পর্যন্ত আট হাজার ৯৫৪ জন পাটকল শ্রমিক অবসরে গেছেন। অব্যাহত লোকসানের কারণে অর্থ সংকটে তাদের অবসর ভাতা দেওয়া সম্ভব হয়নি।’

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি পাটকলে বছরে গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়। বেতনের দাবিতে প্রায়ই শ্রমিকদের আন্দোলনে নামতে হয়। তাদের দাবির মুখে সরকার কিছু অর্থ বরাদ্দ দিয়ে বকেয়া পরিশোধ করে। যেহেতু লোকসানি প্রতিষ্ঠান সে কারণে আবার কয়েকদিন পর একই সংকট তৈরি হয়। শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসে। সরকারের সমালোচনা হয়। এজন্য সরকার এবার লোকসান দিয়ে পাটকল চালানো একদম বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৮জুন, ২০২০)