দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি নদীর তলাদেশে উপুর হয়ে আছে। ভেতরে কত জনের লাশ আছে তা বোঝা যাচ্ছে না এখনও। শেষ ৭-৮টি মরদেহ ডুবে থাকা লঞ্চটির আশেপাশে ভাসমান অবস্থায় পেয়েছেন ডুবুরিরা।

সোমবার (২৯ জুন) দুপুরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ডুবুরিদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বিআইডব্লিউটি-এর হয়ে কাজ করছেন ডুবুরি জাহাঙ্গীর আলম শিকদার। ৯টি মরদেহ লঞ্চ থেকে উদ্ধার করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে এখানে আসি। এসে দেখি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ড্রাইভে রয়েছে। আমাকে তারা কাজ করতে বললো। এরপর আমি নামলাম। লঞ্চটি ৬০-৭০ ফুট পানির নিচে কাত হয়ে রয়েছে। একটু তল্লাশি করার পরই দু’টি মরদেহ পেলাম। এরপর আবার যখন যাই তখন দেখে লঞ্চটি উপুর হয়ে আছে। এরপর একে একে শিশুসহ আরও সাতটি মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এর মধ্যে দু’জন নারী রয়েছে।’

আরেক বেসরকারি ডুবুরি মো. কালু ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘পানির নিচে লঞ্চটি উপুর হয়ে আছে। আমি দু’টি লাশ লঞ্চের বাইরে পেয়েছি। ধারণা করছি, কিছু লাশ হয়তো বের হয়েছে।’

নজরুল ইসলাম নামে আরেক ডুবুরি বলেন, ‘আমি দু’টি লাশ উদ্ধার করেছি। ভেতরে আর লাশ দেখলাম না। তবে লঞ্চটি উপুর হয়ে রয়েছে অন্যকোথাও থাকতে পারে।’

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম সুমনা ঘটনাস্থলে লাশ গ্রহণ ও লাশ তীরে হস্তান্তর করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরাদের ডুবুরিরা কাজ করছেন। সব প্রতিষ্ঠান মিলে কাজ করছে। অভিযানের শেষ পর্যন্ত আমরা কাজ করবো।’

বিআইডব্লিউটি-এর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় এখনও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছাতে পারিনি। জাহাজটি পোস্তগোল ব্রিজের কাছ পর্যন্ত এসে আর আসতে পারছে না।

প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে মুন্সীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ছোট্ট দোতালা লঞ্চ মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দেয় ময়ূর-২ নামে আরেকটি লঞ্চ। এখন পর্যন্ত নারী, শিশুসহ ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৯জুন, ২০২০)