দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: এবার দেশে কোরবানিযোগ্য মোট পশুর সংখ্যা ১ কোটি ৯ লাখ ৪২ হাজার ৫০০টি। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৯ লাখ কম। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৮ লাখ।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবারের কোরবানির পশুর এ সংখ্যা নির্ধারণ করেছে। করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে এবার পশু উৎপাদন কম হয়েছে। একই সঙ্গে চাহিদা অন্য সময়ের চেয়ে কম হবে, তাই কোরবানির পশু নিয়ে কোনো সংকট দেখছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। এই ঈদে মুসলমানরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করে থাকে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, কোরবানিকে সামনে রেখে আমরা সারাদেশ থেকে তথ্য নিয়েছি। সেই তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, দেশে সব মিলিয়ে কোরবানিযোগ্য পশু এক কোটি ৯ লাখ ৪২ হাজার ৫০০টি। এরমধ্যে গরু-মহিষ ৪২ লাখ ৩৮ হাজার, ছাগল ও ভেড়া ৬৭ লাখ এবং অন্যান্য হিসেবে দুম্বা ও উট ৪ হাজার ৫০০। গবাদি পশুর এই হিসাব মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) এ কে এম আরিফুল ইসলাম বলেন, কোরবানিযোগ্য পশুর যোগান চাহিদার চেয়ে বেশি হবে বলেই আশা করছি। আমরা পশু বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। করোনার কারণে পশুর হাটের সংখ্যা বেশি করার জন্য বলা হয়েছে, যাতে সামাজিক দূরত্ব মানা যায়।

তিনি বলেন, অনলাইনে বিক্রির দিকেও জোর থাকবে আমাদের- আমরা এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, গতবছর কোরবানি যোগ্য পশু ছিল এক কোটি ১৭ লাখ। গত বছর কোরবানির পশু জবেহ হয়েছিল ১ কোটি ৬ লাখ।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, এবার পশুর উৎপাদন একটু কমেছে, তবে বড় আকারে কমেনি। কোরবানি উপলক্ষে অনেকে সিজনাল খামারি হয়ে যান। কিন্তু গত ৪/৫ মাস ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চলমান থাকায় তারা সেটা করতে পারেননি। সংখ্যায় কমলেও এক কোটি ৯ লাখ পশু এবার কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত মনে করছি আমরা। কোনো সংকট হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু বিক্রি করতে পারলেই হলো।

তিনি বলেন, সাধারণত আগের বছরের জবেহ হওয়া পশুর সংখ্যার সঙ্গে আরো ৫ শতাংশ যোগ করে চলতি বছরের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এবার এটা বলা মনে হয় ঠিক হবে না যে, গত বছরের সঙ্গে এবার চাহিদা আরো ৫ শতাংশ বাড়বে। করোনায় সবারই আয়-রোজগার কমেছে, তাই চাহিদা আরো কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই এবার ১ কোটি ৯ লাখ কোরবানির পশু পর্যাপ্ত মনে করছি আমরা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৯জুন, ২০২০)