দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ‘এন্ড্রুদা নেই! তিনি যেখানেই থাকুন, তাঁর আত্মা যেন শান্তিতে থাকে।’ কথাগুলো বলেই ফোন রেখে দিতে চাইলেন। পরক্ষণেই বললেন, ‘কী বলবো! এই অবস্থায় কী বলা যায়! আপনারা সবাই এন্ড্রুদার জন্য দোয়া করবেন।’

সোমবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় বাকরুদ্ধ কণ্ঠে কথাগুলো বলেন সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজৎ।

১৯৮২ সালে এন্ড্রু কিশোরের সঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ-এর পরিচয়। দু’জনেই সংগীত জগতের মানুষ। কাজ করতে গিয়ে পরস্পর ঘনিষ্ঠ হন। গড়ে ওঠে পারস্পরিক বিশ্বাস, ভালোবাসা। কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘তাঁর (এন্ড্রু কিশোর) কাছ থেকে বড় ভাইয়ের স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছি। একসঙ্গে অসংখ্য চলচ্চিত্রে গান গেয়েছি। কাজ করার সুবাদে তার কাছাকাছি থাকার সুযোগ হয়েছে। ফলে তাঁকে জানার সুযোগও আমার হয়েছিল। কিন্তু আজ সবই অতীত!’

সদ্যপ্রয়াত এন্ড্রু কিশোরের প্রশংসা করে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘এন্ড্রুদা এতো বড় মাপের শিল্পী হওয়ার পরেও তাঁর মধ্যে অহঙ্কার দেখিনি। এমন সাদামনের একজন শিল্পী এই সময়ে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

সোমবার সন্ধ্যায় না ফেরার দেশে চলে গেছেন কিংবদন্তিতুল্য সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। অনেক দিন ধরেই ক্যানসারসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসার জন্য টাকা সংগ্রহ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত এন্ড্রু কিশোরের পাশে ছিলেন কুমার বিশ্বজিৎ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৬জুলাই, ২০২০)