দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মহামারি ভাইরাস করোনার নমুনা টেস্টকে পুঁজি করে অপরাধবাণিজ্যে লিপ্ত থাকা রিজেন্টের প্রধান কার্যালয়সহ দুইটি হাসপাতাল সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।

রাজধানীর উত্তরায় রিজেন্টের প্রধান কার্যালয়সহ রোগীদের স্থানান্তরের পর সিলগালা করা হয়েছে উত্তরা ও মিরপুরের হাসপাতাল।

সারোয়ার আলম বলেন, উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা এবং বাড়িতে থাকা রোগীদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া সনদ প্রদান করত রিজেন্ট হাসপাতাল। এছাড়াও সরকার থেকে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টেস্ট করার অনুমতি নিয়ে রিপোর্ট প্রতি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা করে আদায় করত তারা। এভাবে জনগণের সাথে প্রতারণা করে মোট তিন কোটি টাকা হাতিয়েছে রিজেন্ট। এই সমস্ত অপরাধ ও টাকার নিয়ন্ত্রণ চেয়ারম্যান সাহেব (রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ) নিজে করতেন অফিসে বসে।

তিনি আরো বলেন, ‘রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় থেকেই এই অপকর্মগুলো হতো বিধায় এটি সিলগালা করা হয়েছে। পাশাপাশি রোগীদের স্থানান্তর করে হাসপাতাল দুটিও সিলগালা করা হয়েছে।’

এর আগে সোমবার রাতেই মো. মোহাম্মদ সাহেদের মালিকানাধীন হাসপাতাল থেকে অননুমোদিত র‌্যাপিড টেস্টিং কিট ও একটি গাড়ি জব্দ করা হয়। এ প্রসঙ্গে সারোয়ার আলম বলেন, ওই গাড়িতে ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্টিকার লাগানো ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজনের চোখে ধুলো দিতেই ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্টিকার ব্যবহার করা হতো।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৬ জুলাই) বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। এতে নেতৃত্ব দেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযানে রিজেন্টের ৮ জন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৭জুলাই, ২০২০)