দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কুয়েতে গ্রেপ্তার এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে দেশেও তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকালে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান তিনি।

এ সময় মানবপাচারের ঘটনায় কোনো ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা মানবপাচার ও অর্থপাচার বন্ধ করতে কত চেষ্টা চালাচ্ছি। এ সময় একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কুয়েতে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুয়েতের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম (পাপুল)-এর বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। তবে সে দেশের সরকার আমাদের অফিশিয়ালি কিছু জানায়নি।

তিনি বলেন, ওই দেশের সরকার যদি আমাদের এ সাংসদের বিষয়ে জানায় তবে আমরা আমাদের দেশে নিয়ম অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেব। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ব্যাপারে অর্থাৎ মানবপাচার ও অর্থপাচারের বিষয়ে জিরো টলারেন্সে নীতি মেনে চলেন। সে যে দলেরই হোক না কেন, নিজের দলের হলেও তাকে শাস্তি পেতে হবে।

পাপুলর কুয়েতে অবস্থানের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের এ সাংসদ কোনো সরকারি পাসপোর্ট নিয়ে সে দেশে যাননি। তিনি কুয়েতে ২৯ বছর ধরে ব্যবসা করেন, ওইখানকার কোম্পানির সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সে দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া বাংলাদেশের এ সাংসদকে তারা সে দেশের একজন ব্যবসায়ী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, কুয়েত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হলে তা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।

কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামের বিষয়ে তিনি বলেন, তার নিয়োগের চুক্তির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এ মাসেই তার মেয়াদ শেষে তিনি চলে আসবেন। নতুন রাষ্ট্রদূত কে হবেন তাও আমরা চূড়ান্ত করে ফেলেছি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৭জুলাই, ২০২০)