দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের ভুয়া সনদ ধারণের অভিযোগ পাওয়ার পর বাংলাদেশিদের প্রবেশে আরও কড়াকড়ি আরোপ করলো ইউরোপের দেশ ইতালি। আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশি যাত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির সরকার। এর আগে এক সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট বাতিলের কথা জানিয়েছিল ইতালি।

বুধবার (৮ জুলাই) রাতে এ সংক্রান্ত নোটাম (নোটিশ টু এয়ারম্যান) জারি করেছে ইতালি।

নোটামে বলা হয়েছে, ‘ইতালিয়ান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশে থেকে আসা সব যাত্রী ও ফ্লাইট ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবে না। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় কোনো এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে থেকে কোনো যাত্রী আনতে পারবে না। এমনকি কোনো ট্রানজিট ফ্লাইটেও যাত্রী আনা যাবে না, যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন।’

এই নোটাম জারির পর কাতার এয়ারওয়েজ ঘোষণা দিয়েছে, ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ইতালিগামী কোনো যাত্রী তাদের ফ্লাইটে নেয়া হবে না।

গত সোমবার বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়া বিশেষ ফ্লাইটের ২১ যাত্রীর দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয় দেশটিতে। রোমের ফিউমিসিনো ও মিলানের মালপেনসা বিমানবন্দরে অবতরণ করা ১৮২ বাংলাদেশির মধ্যে ১৬৭ জনকে সেখানে নামতে না দিয়ে ফেরত পাঠায় ইতালি। পরদিন কাতার ইয়াজওয়েজে দোহা থেকে যাওয়া ১২৫ বাংলাদেশি যাত্রীকেও নামতে দেয়নি দেশটি।

বাংলাদেশের ফ্লাইটে করোনায় আক্রান্ত যাত্রী কীভাবে গেল, তা নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে ইতালির সংবাদমাধ্যমে। খবরে বলা হচ্ছে, টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে ওই যাত্রীরা ইতালি গেছেন।

করোনা পরিস্থিতির কারণে দুই মাস বন্ধ থাকার পর জুনে বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনরায় চালু হয়। গত কয়েক সপ্তাহে ইতালির সঙ্গে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ফ্লাইট চলাচল হয়েছে।

নীতিনির্ধারকরা বলছেন, সেখানে গিয়ে কোয়ারেন্টাইন অমান্য করে কাজে যোগ দিয়ে অন্যদের সংক্রমিতও করেছেন তারা। এরইমধ্যে ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৯জুলাই, ২০২০)