দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সরকার ফি নির্ধারণ করার পর করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার হার কমতে থাকায় তা বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার নিজ সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবেই দুর্যোগে পড়া সহায়তা করে আসছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রায় ১৫টি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য জেলায়ও বন্যা ছড়িয়ে পড়তে পারে বিশেষজ্ঞদের এমন আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রাণ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই পানিবন্দি মানুষের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

বন্যার পানিতে মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ফসল, গবাদিপশুসহ অন্যান্য সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার পানিবন্দি মানুষকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নিয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে। প্রায় এক হাজার আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুর্গত এলাকার মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার সরবরাহ এবং মানবিক সহায়তায় প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান কাদের।

‘করোনার নমুনা পরীক্ষা ক্রমশ কমছে, আবার পরীক্ষিত নমুনা বিবেচনায় আক্রান্তের শতকরা হার বেশি যা অংকের হিসেবে প্রায় চার ভাগের একভাগ’- এমন অভিমত ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের নমুনা পরীক্ষা আরও বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, ল্যাবগুলোর সক্ষমতা অনুযায়ী পরীক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রেরণে স্বাস্থ্যবিভাগের কার্যকর ও দ্রুত উদ্যোগ প্রত্যাশা করে কাদের বলেন, মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যবিভাগের মাঝে সমন্বয়ের অভাব আছে বলে গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী করোনার চিকিৎসা, সংক্রমণ রোধ এবং অন্যান্য রোগের চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে সু-সমন্বয় প্রতিষ্ঠা জরুরি।

নমুনা পরীক্ষায় ফি নির্ধারণের ফলে অনেক অসহায়, কর্মহীন, দরিদ্র মানুষ করোনার লক্ষণ দেখা দিলেও পরীক্ষা করাতে আসে না বলে অভিযোগ প্রসংগে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়, অসহায় মানুষগুলোর সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ যেমন উদ্বেগ বাড়িয়েছে অন্যদিকে বিদেশে দেশের ইমেজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই এ ধরণের অপকর্ম নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভবিষ্যতে আর কোন প্রতিষ্ঠান যেন এধরণের অপরাধ করতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। বিভিন্ন জেলায় কোরবানির পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না, ক্রেতা-বিক্রেতার অবাধ বিচরণ এবং স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলায় পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলতে পারে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন পশুরহাটের ইজারা গ্রহিতা, স্হানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, স্হানীয় প্রশাসন, পুলিশ বিভাগসহ সকলের প্রতি পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর কঠোরতা প্রদর্শনের অনুরোধ রইলো।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪জুলাই, ২০২০)