দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে ‘নিষিদ্ধ’ বা বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- ‘সংগঠনের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড’ করা। ১৫ জুলাই, বুধবার বিএফডিসির জহির রায়হান কালার স্টুডিওতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতারা।

এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির নেতা মুশফিকুর রহমান গুলজার, বদিউল আলম খোকন, প্রযোজক সমিতির নেতা খোরশেদ আলম খসরু, শামসুল হক, অভিনেতা ওমর সানী, প্রযোজক মো. ইকবালসহ অনেকে।

এতে জানানো হয়, তিন মাস আগেই মিশা সওদাগরকে বয়কট করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি। সেই সঙ্গে এবার জায়দ খানকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘চলচ্চিত্রের স্বার্থবিরোধী কাজের কারণে আমরা তার (জায়েদ খান) প্রযোজক সমিতির পদটি বাদ দিয়েছি।’

চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, জায়েদ খানকে নিয়ে অনেকের অনেক অভিযোগ। তিনি প্রযোজক ও পরিচালকদের সম্মান না দিয়ে, তাদের হেয় করে কথা বলেন। শুধু প্রযোজক ও পরিচালকই নয়, অনেক শিল্পীকেও তিনি নানাভাবে অপমান করেছেন। তিনি অনেক শিল্পীকে এসএমএস করে আমাদের তৈরি নীতিমালা না মানতে উৎসাহিত করেছেন। সবমিলিয়ে তাই আমরা সবাই মিলে (১৮টি সংগঠন) জায়েদ খানকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এছাড়া মিশা সওদাগরের বিষয়টি নিয়ে গুলজার বলেন, চলচ্চিত্র নির্মাণে শৃঙ্খলা আনতে ও নির্মাণ ব্যয় কমাতে গত অক্টোবরে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে প্রযোজক সমিতি। এটি বাস্তবায়ন হলে চলচ্চিত্র নির্মাণের খরচ ন্যূনতম ১৫ লাখ টাকা কমে যাবে। বিষয়টি নিয়ে একটি শুটিং ফ্লোরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটান মিশা। তখন প্রযোজক সমিতি তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়। এটা লকডাউনের আগের ঘটনা। তখন জানানো হয়, প্রযোজক সমিতির কোনও সদস্য মিশাকে নিয়ে কোনও ছবি করবেন না। বা তাকে নিয়ে কেউ অনুমোদন নিতে এলে, তার ছবিটি অনুমোদন করা হবে না। সেই নিষেধাজ্ঞা এখনও বলবত আছে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫জুলাই, ২০২০)