দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ৩২ বছরের অপেক্ষা ঘুচানোর সুযোগ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ১৯৮৮ সালের পর দেশটির প্রথম দল হিসেবে হোল্ডারদের সামনে ছিল টেস্ট সিরিজ জয়ের সুযোগ। কিন্তু ব্রডের ইতিহাস গড়ার টেস্টে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি ক্যারিবীয়ানরা।

পুরো ম্যাচেই ছিল ব্রডের দাপট। শেষটায় বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন ক্রিস ওকস। দুই ডানহাতি পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৬৯ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ৩৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চতুর্থ ইনিংসে তোলে ১২৯ রান। করোনা পরবর্তীকালে শুরু হওয়া টেস্ট সিরিজ ইংল্যান্ড জিতে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।

ম্যানচেস্টারে চতুর্থ দিনই জয়ের স্বাদ পেতে পারত ইংল্যান্ড। বৃষ্টির বাগড়ায় চতুর্থ দিন একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। ম্যাচ গড়ায় মঙ্গলবার, পঞ্চম দিনে। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের আজ দরকার ছিল ৮ উইকেট, ব্রডের ২ উইকেট। ক্রিকেট বিশ্বের সপ্তম বোলার হিসেবে পাঁচশ উইকেটের হাতছানি ছিল তার সামনে। নিজেকে অপেক্ষায় রাখেননি ব্রড। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ডানহাতি পেসার নেন ২ উইকেট।

পঞ্চম দিন সকালে উইন্ডিজ ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে পাঁচশ উইকেটের চূড়ায় পৌঁছান। ৩৪ বছর বয়সী এই পেসারের অফ স্ট্যাম্পে পড়া বল ব্যাকফুটে ডিফেন্স করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ এর ফাঁদে পড়েন ব্র্যাথওয়েট। বলটি নিচু হয়ে প্যাডে আঘাত হানতেই জোরালো আবেদন করেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। আম্পায়ারও আঙুল তুলতে দেরি করেননি। ব্র্যাথওয়েটের উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে পাঁচশত উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছান ব্রড। টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট পেয়েছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন (৮০০), শেন ওয়ার্ন (৭০৮), অনিল কুম্বলে (৬১৯), জেমস অ্যান্ডারসন (৫৮৯), গ্লেন ম্যাকগ্রা (৫৬৩) এবং কোর্টনি ওয়ালশ (৫১৯)।

সতীর্থর মাইলফলক ছোঁয়ার পরপরই জ্বলে উঠেন ওকস। আগুনে বোলিংয়ে তুলে নেন ৫ উইকেট। তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় ইংলিশদের জয়। ১০ রানে দিন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ১২৯ রানে। ওকস ৫টি এবং ব্রড নেন ৪ উইকেট। রান আউট হয়েছেন রোস্টন চেজ। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন শাই হোপ।

ইতিহাস গড়া ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ব্রড। যৌথভাবে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন চেজ ও ব্রড।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৯জুলাই, ২০২০)