দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: দুর্দান্ত এক মৌসুম পার করছেন চিরো ইমমোবিলে। ৩০ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান ফুটবলার বর্তমানে ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার। ব্রেসিয়াকে ২-০ গোলে হারানোর ম্যাচে ইমমোবিলে আরও একবার স্কোরশিটে নাম লিখিয়েছেন ম্যাচের ৮২ মিনিটে। সিরি আ’তে এখন পর্যন্ত ৩৬ ম্যাচে লাৎসিও এই স্ট্রাইকারের গোল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫টি। ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জয়ের পথে বড় এক ধাপ এগিয়েছেন তিনি।

৩৫ গোল করে ইমমোবিলে ছাড়িয়ে গেছেন বায়ার্ন মিউনিখের রবার্ট লেভানডফস্কিকেও। ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন তিনি। বুন্দেসলিগায় এই মৌসুমে ৩১ ম্যাচে ৩৪ গোল করা লেভানডফস্কি এতোদিন ইউরোপিয়ান লিগের গোলদাতাদের ভেতর এগিয়ে ছিলেন। তবে এখনো মৌসুমের ১ ম্যাচ হাতে রেখে ইমমোবিলে ছাড়িয়ে গেছেন তাঁকে।

ইমমোবিলের সঙ্গে দৌড়ে টিকে আছেন কেবল লিগের সতীর্থ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সিরি আ’র এক ম্যাচ বাকি থাকতে ইমমোবিলের চেয়ে ৪ গোলে পিছিয়ে আছেন তিনি। লিগের শেষ ম্যাচে লাৎসিওর প্রতিপক্ষ নাপোলি। আর জুভেন্টাস খেলবে রোমার বিপক্ষে। রোনালদোর ইমমোবিলে টপকাতে একদিকে যেমন করতে হবে এক হালি গোল, অন্যদিকে ইমমোবিলেকে থাকতে হবে গোলশূন্য। আর দুইয়ে দুইয়ে চার মিললেই অসম্ভবকে সম্ভব করা হবে রোনালদোর।

আর এর মাধ্যমে ভাঙতে যাচ্ছে ১৩ বছরের রেকর্ড। ২০০৬-০৭ মৌসুমে টট্টি গোল্ডেন শু জেতার পর লা লিগার বাইরে এই ট্রফি গেছে মাত্র একবার। ২০০৭-০৮ মৌসুমে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোই সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে। এরপর থেকেই লা লিগার ক্লাবগুলো একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়েছে। এক লিওনেল মেসিই সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন রেকর্ড ৬ বার। ২০১৩-১৪ মৌসুমে লিভারপুলের লুইস সুয়ারেজ যুগ্মভাবে এই পুরস্কার জিতেছিলেন রোনালদোর সঙ্গে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩০জুলাই, ২০২০)