দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এই শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। আজহা অর্থ কোরবানি বা উৎসর্গ করা। করোনা মোকাবিলায় সকলকে সচেতন হতে হবে এবং জীবনযাপনে ও চলাফেরায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিজে সুস্থ থাকি, অন্যকেও সুস্থ রাখি- এটাই হোক এবারের ঈদুল আজহার সকলের অঙ্গীকার।

আবদুল হামিদ বলেন, মহান আল্লাহর নিকট কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধনিয়ত ও উপার্জন থাকা আবশ্যক। পাশাপাশি সকলেই সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেয়া ও কোরবানির বর্জ্য অপসারণসহ পশুক্রয় থেকে শুরু করে প্রতিটি কার্যক্রম করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে করতে সচেষ্ট থাকবেন বলে আমি আশা রাখি। পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ- মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি।

তিনি বলেন, এ বছর এমন একটা সময়ে ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন মহামারি করোনার ছোবলে সারাবিশ্ব বিপর্যস্ত। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অনেক মানুষই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব মানুষের কল্যাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আজহা উৎসবের সাথে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয়পুত্র হজরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হজরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়।

আবদুল হামিদ বলেন, কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। কোরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি ও সমাজজীবনে প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩১জুলাই, ২০২০)