দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় পলাতক ২ আসামির হদিস মিলছে না। পলাতক আসামিরা হলেন- এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মো. মোস্তফা।

জানা গেছে, আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও, এজাহারে তাদের কোন ঠিকানা নেই।

অনুসন্ধানকালে র‍্যাবের কাছে পুলিশ দাবি করেছে, এই নামে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রে কেউ কর্মরত নেই।

এ বিষয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, আমরা জানতে পেরেছি পলাতক দুই আসমি পুলিশ সদস্য। এবিষয়ে আমরা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেছে এই নামে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রে কোনো পুলিশ সদস্য নেই। এক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তারা আরও যাচাই-বাছাই করবে।

তবে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা বলছেন, পলাতক দুইজন শনাক্ত না হলেও মামলায় তেমন কোন প্রভাব পড়বে না।

এর আগে সিনহা নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার কক্সবাজার পুলিশের ৭ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা সদস্যরা হলেন- টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনার বিচার চেয়ে গত বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৭ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে বাদীপক্ষ তাদের আটক ও পরে রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলালকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন। আর বাকি ৪ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৮আগস্ট, ২০২০)