দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনাকালীন সময়ে মাস্ক, পিপিইসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী কেনায় দুর্নীতির অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বুধবার (১২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম অনুসন্ধানে তাকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

মাস্ক-পিপিইসহ করোনা স্বাস্থ্যসামগ্রী কেনায় দুর্নীতি এবং রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম অনুসন্ধানে গত ৬ আগস্ট দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথক দুটি অভিযোগ অনুসন্ধানে তার বক্তব্য নেয়ার জন্য আগামী ১২ ও ১৩ আগস্ট তাকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়। দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী ও শেখ মো. ফানাফিল্যা আলাদা চিঠিতে তাকে তলব করেছেন।

মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর্স ডিপার্টমেন্টের (সিএমএসডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কভিড-১৯ এর চিকিৎসার নিমিত্ত নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বক্তব্য গ্রহণের জন্য তলব করা হয়।

আগামী ১২ আগস্ট দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দেয়ার অনুরোধ করা হয়। নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।

অপরদিকে, দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত চিঠিতে আগামী ১৩ আগস্ট অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে তলব করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে করোনা সনদ দেয়ার নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকে চলমান অনুসন্ধানের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাকে (আবুল কালাম আজাদ) তলব করা হয়েছে।

একই ঘটনায় শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত আরেক চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. মো. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক মো. ইউনুস আলী, ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলামকে আগামী ১২ আগস্ট তলব করা হয়েছে।

গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা আর অনিয়মের সমালোচনার মধ্যে পদত্যাগ করেন আবুল কালাম আজাদ। এর দুদিন পর ২৩ জুলাই তার স্থলাভিষিক্ত হন অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১আগস্ট, ২০২০)