দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: লড়াইটা দুই জায়ান্ট দলের। স্বাভাবিকভাবেই তাই ম্যাচের আগে ছড়াচ্ছিল উত্তাপ। যদিও অনেকেই এ লড়াইয়ে কিছুটা হলেও বার্সেলোনার চেয়ে এগিয়ে রেখেছিল বায়ার্ন মিউনিখকে। কিন্তু কেউ হয়তো ভাবেনি ম্যাচে জার্মানির দলটির কাছে পাত্তাই পাবে না কাতালানরা। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাতে তো সেটাই হয়েছে লিসবনে। লিওনেল মেসিদের গোল বন্যায় ভাসিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন। শুক্রবার ৮-২ গোলে কাতালানেদের হারিয়েছে বায়ার্ন। এরআগে সর্বশেষ ১৯৪৬ সালে ৮ গোল হজম করেছিল কিকে সেতিয়েনের শিষ্যরা। সেবার দলটির প্রতিপক্ষ ছিল সেভিয়া।

বায়ার্নের বড় জয়ে জোড়া গোল করেন টমাস মুলার ও ফিলিপে কৌতিনহো। একটি করে রবার্ট লেভানডফস্কি, সের্গে জিনাব্রি, ইভান পেরিসিচ ও জশুয়া কিমিচ।

শুক্রবার বায়ার্নের গোল উৎসবের শুরুটা হয়েছিল ৪ মিনিটেই। সে সময় বাঁ দিক থেকে পেরিসিচের ক্রস বক্সের ঠিক বাইরে ধরলেন টমাস মুলার। তার কাছ থেকে লেভানডফস্কির পা হয়ে আবার মুলারের পায়ে বল। বাঁ পা দিয়ে টের স্টেগেনের ডান পাশ দিয়ে বল জালে ঠেলে দেন বায়ার্ন ফরোয়ার্ড। এর ৩ মিনিট পরই অবশ্য আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফিরেছিল বার্সেলোনা। তখন তাই ম্যাচটি জমজমাট এক লড়াইয়েরই আভাস দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়গুলোতে এ ধারণা বলতে গেলে একবারেই পাল্টে যায় কাতালানদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণে। ২২ থেকে ৩১, এই ৯ মিনিটে ৩ গোল করে ম্যাচটি হাতের মুঠোই তুলে নেয় বায়ার্ন। দ্বিতীয় গোলটি করেন ইভান পেরিসিচ। জিনাব্রির কাছ থেকে বল পাওয়া পেরিসিচকে চ্যালেঞ্জ জানাতে যায়নি বার্সেলোনার কেউ। যথেষ্ট সময় পেয়ে বুলেট গতির কোনাকুনি শট নেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার, বল মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনের বুটে লেগে জালে জড়ায়।

এদিকে ২৮তম মিনিটের সার্জ নাবরি ৩–১ করার পর ৩১ মিনিটে মুলারের দ্বিতীয় গোলে ৪–১। ঐ সময়ে আসলে ম্যাচে ভাগ্য অনেকটায় নির্ধারিত হয়ে যায়। তারপরও বার্সেলোনা বলে ভক্তরা ছিলেন আশায়।

দ্বিতীয়ার্ধে বল গড়ানোর ১২ মিনিটের মধ্যে লুইস সুয়ারেজ গোল করে ব্যবধান কমান। জর্দি আলবার কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ দক্ষতায় বায়ার্ন ডিফেন্ডারদের বিভ্রান্ত করে নিচু শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসেনি বায়ার্নের। কেননা ম্যাচের ৬৩ মিনিটেই দলটি ব্যবধানে করে ফেলে ৫–২। অবিশ্বাস্য ড্রিবলিংয়ে বার্সার ডিফেন্সকে ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলে আলফোনসো ডেভিস পাসটা বাড়ালেন জশুয়া কিমিখের দিকে। ছন্নাছাড়া বার্সেলোনা ডিফেন্সকে আরেকটি গোল উপহার দিতে ভুল করলেন না কিমিখ। তারপরও গোলের ক্ষুধা মেটেনি দলটির। ২২তম মিনিটে গোল করে যেন সেটারই ইঙ্গিত দেন রবার্ট লেভানডফস্কি। কৌতিনহোর চমৎকার ক্রসে জাল খুঁজে নেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। আসরে এটি তার চতুদর্শ গোল। মৌসুমে ৫৪তম। এর কিছুক্ষণ পর দুটি গোল করেন কৌতিনহো। তবে তিনি উদযাপন করেননি। সে সময় বায়ার্ন এগিয়ে ৮-২ ব্যবধানে। এর কিছুক্ষণ পরই ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজান রেফারি। তার আগেই অবশ্য ম্যাচের ভাগ্য মেনে নিয়েছেন মেসিরা।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বায়ার্ন প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে ম্যানচেস্টার সিটি ও অলিম্পিক লিঁওর মধ্যে জয়ী দলের মধ্যে যে কাউকে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫আগস্ট, ২০২০)