দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আবুধাবির বিমানবন্দর থেকে ১১২ জন প্রবাসী বাংলাদেশীকে ফিরিয়ে দেওয়া ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের পলিসির হঠাৎ পরিবর্তন ও কিছু অস্বচ্ছতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ আগস্ট) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সম্প্রতি আবুধাবি বিমানবন্দর থেকে ১১২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। এছাড়াও দেশটির পলিসিগত পরিবর্তনের কারণে ৮৬৮ জন যাত্রীকে বাংলাদেশের বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।

বাংলাদেশিদের ফিরে আসার কারণ নিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ১০ আগস্ট আবুধাবির ইমিগ্রেশন বিভাগ তাদের পলিসি পরিবর্তন করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, যাদের ভিসার মেয়াদ আছে তারা আবুধাবি ঢুকতে পারবে। তবে ১৩ আগস্ট তারা তাদের সেই পলিসিতে আবারো পরিবর্তন আনে। সংশোধিত পলিসিতে তারা বলে যে, আবুধাবিতে প্রবেশের জন্য প্রবাসীদের ‘দ্যা ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ’ (আইসিএ) এর অনুমোদন লাগবে। আর যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদের সেদেশে এন্ট্রির অনুমোদন আছে কি না, সেটি চেক করার জন্য একটি ওয়েব পোর্টালের অ্যাড্রেস দিয়েছে।

তবে এই নির্দেশনাটি প্রবাসী যাত্রী ও উড়োজাহাজ সংস্থা মিস করে গেছে। তাই তারা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেনি।

তিনি বলেন, যাত্রীদের ফেরত পাঠানো কিংবা কি করলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সেদেশে ঢুকতে পারবে, সে বিষয়ে আবুধাবি ইমিগ্রেশন বিভাগের পক্ষ থেকে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসকে জানায়নি।

এছাড়া এয়ার এরাবিয়া এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস তাদের কাছে সমাধান জানতে চাইলেও, আবুধাবি ইমিগ্রেশন তাদের কোনো সদুত্তর দেয়নি।

এর আগে ১৪ ও ১৬ আগস্ট বাংলাদেশি যাত্রীদের দেশে ফেরত পাঠায় আবুধাবি। এঘটনায় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে একটি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৬আগস্ট, ২০২০)