দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম (৩৬) ও সদস্য আসাদুল ইসলামকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ।

শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি রাসেদ পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল তাদেরকে বহিষ্কার করেছেন। এ সংক্রান্ত একটি পত্র তারা পেয়েছেন।

বুধবার দিবাগত রাত প্রায় ৩ টার দিকে সরকারি বাসভবনে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রংপুরে পাঠানো হয়। ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকে আইসিইউতে ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়। গতকাল রাতে তার আড়াই ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচার হয়।

এ ঘটনায় ওয়াহিদা খানমের বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পর শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় সন্দেহভাজন প্রধান আসামি আসাদুল ইসলামকে হাকিমপুর উপজেলার হিলি সীমান্তের চুড়িপট্রি এলাকা থেকে আটক করে র‌্যাব। তার বাড়ি উপজেলার ৪ নম্বর ঘোড়াঘাট ইউপি’র সাগরপুর গ্রামে।

এর আগে ঘোড়াঘাট থেকে জাহাঙ্গীর ও মাসুদ রানা নামে দু’জনকে আটক করা হয়। জাহাঙ্গীর ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। আর মাসুদ উপজেলার সিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা। জাহাঙ্গীর কাছিগাড়ি গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। আর মাসুদ দক্ষিণ দেবিপুর গ্রামের আদু মিয়ার ছেলে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ইউএনও’র বাসভবনের নৈশপ্রহরী পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবি পুলিশ।

জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এবং আসাদুল ইসলাম আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০)