দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: দেশি ফলের মধ্যে পেয়ারা বেশ পরিচিত এবং সুস্বাদু একটি ফল। খুব সহজলভ্য এই ফলটির রয়েছে নানা রকম পুষ্টিগুণ। অনেকেই বলেন, দুটি আপেলের পুষ্টিগুণের সমান একটি পেয়ারা। এটা অবশ্য প্রচলিত গল্প। কিন্তু পেয়ারার পুষ্টিগুণ আপেলের চেয়েও বেশি। পেয়ারা সাধারণত কেটে বা ভর্তা করে খাওয়া হয়ে থাকে। অনেকেই আবার সুস্বাদু এই ফলটি জেলী করেও খেতে পছন্দ করেন। এর বাইরেও নানাভাবে খাওয়া যায় ফলটি। পেয়ারা বর্ষাকালীন ফল হলেও, বারোমাসই তা পাওয়া যায়। তাই চলুন জেনে নেই আমাদের পরিচিত ফল পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও নানা উপকারিতা সম্পর্কে। 

পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ। পুষ্টিবিদদের মতে, মাঝারি আকৃতির একটি কমলার চেয়ে একটি পেয়ারাতে চার গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। তাছাড়া, একটি লেবুর তুলনায় ১০ গুণ বেশি ভিটামিন এ রয়েছে। এ ছাড়া পেয়ারার মধ্যে ভিটামিন বি২, ই, কে, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, ফসফরাস এবং পটাসিয়ামসহ নানাবিধ পুষ্টিগুণ বিদ্যমান।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। ফলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সেইসাথে পেয়ারা গ্রহণ মানব শরীরকে বিভিন্ন রোগের সাথে যুদ্ধ করারও শক্তি প্রদান করে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি

ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন এ কর্নিয়াকে সুস্থ রাখে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখুন। কাঁচা পেয়ারা ভিটামিন এ এর ভাল উৎস।

হার্ট সুস্থ রাখা

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত পেয়ারা খেলে শরীরে রক্ত চাপ ও রক্তের লিপিড কমে। পেয়ারাতে থাকা পটাশিয়াম নিয়মিত হৃদস্পন্দনের এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সেইসাথে নিয়মিত লাইকোপিন সমৃদ্ধ গোলাপি পেয়ারা খেলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায়, বলে জানা যায়।

ক্যান্সারের ঝুঁকি

পেয়ারাতে লাইকোপিন, ভিটামিন সি, কোয়ারসেটিন এর মত অনেকগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। জানা যায়, এই সমস্ত উপাদান শরীরে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে। এটি প্রোসটেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

চীনের চিকিৎসা শাস্ত্রে অনেক বছর ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা ব্যবহার হয়ে আসছে। জানা যায়, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে পেয়ারা পাতা বেশ কার্যকর।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৬সেপ্টেম্বর, ২০২০)