দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কিছুদিন পূর্বেও হৃদযন্ত্রের যেকোন সমস্যা দেখা দিলে দেশের অসচ্ছল মানুষেরা বেঁচে থাকার বিষয়টি ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিত। যাদের সামর্থ্য ছিলো তারা দেশের বাইরে যেত চিকিৎসার জন্য৷ এর ফলে একদিকে যেমন দেশ থেকে বিপুল পরিমান মুদ্রা দেশের বাইরে চলে যেত অন্যদিকে নানান ভোগান্তিতে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হতো, পাশাপাশি রোগীর পরিবারও হতো সর্বস্বান্ত। কিন্তু, বর্তমানে সে অবস্থা আর নেই। এখন দেশেই মিলছে কম খরচে হৃদরোগের বিশ্বমানের সেবা। দেশের সর্বাধুনিক এএফসি হেলথ ফরটিস হার্ট ইনস্টিটিউট (অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল) হৃদরোগ আক্রান্তদেরকে বিদেশের চেয়ে অন্তত তিনগুন কম খরচে আধুনিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই সকলের আস্থা অর্জন করেছে। 

সারা বিশ্বে যেখানে নজির নেই সেখানে ১০৬ বছর বয়সী বৃদ্ধার শরীরে সফল প্রাইমারি পিসিআই(পারকুটেনিয়াস করোনারি ইন্টারভেনশন) সম্পন্ন করে অনেক আগেই সারা ফেলে দিয়েছিলো এএফসি হেলথ ফরটিস হার্ট ইনস্টিটিউট।এরপর প্রতিষ্ঠানটির সুনাম বেড়েই চলেছে। এছাড়া,সফলভাবে তারহীন পেসমেকার স্থাপন করেও আলোচনায় আসে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রথমে খুলনাতে শুরু হলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি দেশের ৩টি বিভাগীয় শহর খুলনা,কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে সেবা প্রদান করছে। ভারতের বিখ্যাত ফরটিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের সহযোগিতা চট্টগ্রাম ও খুলনায় দুটি ইউনিট স্থাপন করা হয়। তবে চট্টগ্রামে হাসপাতালের একাংশ চালু থাকলেও চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন ও আধুনিকায়নের কাজ চলছে।
এএফসি হেলথ ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায়িক নিবন্ধন পায়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম শুরু করে। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে জুয়েল খান এবং চেয়ারম্যান হিসেবে এবিএম গোলাম মোস্তফা দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বমানে কার্ডিওলজিস্ট এবং কার্ডিয়াক সার্জনদের সমন্বয়ে দ্রুত হার্টের রোগ সনাক্তকরণ এবং সে অনুযায়ী মেডিক্যাল বা সার্জিক্যাল চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।এছাড়া ভারতসহ অন্যান্য দেশের স্বনামধন্য চিকিৎসকদের নিয়ে নিয়মিত সায়েন্টিফিক সেমিনারের আয়োজন করে আসছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান উদ্দেশ্য জনসেবা। তবে এরই মধ্যে বেশ মুনাফা অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সালে কোম্পানটি ৬০ লাখ টাকা, ২০১৫ সালে ২ কোটি, ২০১৬ সালে ২ কোটি ২৪, ২০১৭ সালে ৪ কোটি ৯৬ লাখ, ২০১৮ সালে ১৭ কোটি টাকা এবং ২০১৯ সালে ২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা মুনাফা করে।
এরই ধারাবাহিকতায় এএফসি হেলথ ফরটিস হার্ট ইনস্টিটিউট সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পেয়েছে। এএফসি হেলথ ফরটিস হার্ট ইনস্টিটিউট পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত ১৭ কোটি টাকায় হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয় এবং আইপিও বাবদ খরচ করবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ।
উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪৭ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) রয়েছে ১৩.১৩ টাকা।


দ্য রিপোর্ট /এএস/ ২১,সেপ্টেম্বর, ২০২০