দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:সারা বিশ্বে স্টিল স্ট্রাকচারড বিল্ডিংয়ের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। দেশেই তৈরী হচ্ছে বিশ্বমানের প্রি-ইঞ্জিনিয়ার্ড অর্থাৎ স্টিল স্ট্রাকচারড বিল্ডিং। এ ক্ষেত্রে বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড।

ভূমিকম্পসহনশীল ও সহজেই স্থানান্তরযোগ্য,রিসেল ভেল্যু ইত্যাদি বিবেচনায় প্রচলিত আরসিসি বিল্ডিয়ের পরিবর্তে স্টিল স্ট্রাকচারড বিল্ডিং নির্মাণে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে।তাছাড়া ‍স্টিল কাঠামোর ভবন নির্মাণে কয়েকগুণ সময় কম লাগছে। এতে অল্প সময়ের মধ্যেই উৎপাদনে যাওয়া যায় বলে বানিজ্যিক ভবন নির্মাণে স্টিল স্ট্রাকচারই প্রথম পছন্দে পরিণত হয়েছে বলে জানালেন ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা (সিএফও)সন্তোষ চন্দ্র সাহা।

দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোরের সাথে একান্ত আলাপে তিনি শোনালেন ডমিনেজ স্টিলের সাফল্যের গল্প। ‘স্টিল স্ট্রাকচার একটি পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি। আরসিসি বিল্ডিংয়ে ইট,বালু, সুড়কির ব্যবহার হয়। এগুলো পরিবহন থেকে শুরু করে মিক্সিং পর্যন্ত সকল ধাপেই পরিবেশ দূষণ করে। এছাড়া, আরসিসি বিল্ডিংয়ের তুলনার স্টিল স্ট্রাকচারের ওজন হয় প্রায় অর্ধেক। এতে মাটিতেও কম লোড পড়ে। এসব সুবিধার জন্য বানিজ্যিক ভবনের পাশাপাশি আবাসিক ভবন নির্মাণেও ‍স্টিল স্ট্র্রাকচারের ব্যবহার বাড়ছে। ডমিনেজ স্টিল, স্টিল স্ট্রাকচারের পুরোটাই তৈরী করে নিজস্ব ফ্যাক্টরীতে। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইনে এসব কাঠামো ফ্যাক্টরীতে তৈরী করে বিল্ডিং নির্মাণের স্থানে সেটিং করা হয়’। এতে ঝক্কি-ঝামেলা একদমই নেই বলে জানান তিনি।
ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমর যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে দুজন স্বপ্নবাজ মানুষের হাত ধরে।তারা হলেন,কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। বুয়েট থেকে পাশ করে বাইরে চলে না গিয়ে দেশেই কোন কিছু করতে হবে এমন ভাবনা থেকেই প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টি।এরপর শুধু এগিয়ে চলার গল্প। দিনদিন প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপ্তি বাড়ছেই। এরই মধ্যে দেশের বিখ্যাত ও প্রতিষ্ঠিত নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কাজ করেছে ডমিনেজ স্টিল।


বর্তমানে কোম্পানিটির, নরসিংদীর পলাশ ও সাভারের আশুলিয়াতে দুটি কারখানা রয়েছে। ভবন নির্মানে কাঁচামাল জাপান, চীন ও তাইওয়ান থেকে আমদানি করা হয়। দুটি কারখানার প্রতিমাসে ৫০০ টন প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড স্টিলের পণ্য তৈরির সক্ষমতা রয়েছে
কোম্পানিটির (সিএফও)সন্তোষ চন্দ্র সাহা জানান, ডমিনেজ স্টিলের পথচলা আরও সুগম করতে, কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটির আইপিও আবেদন আগামী ১৯ অক্টোবর শুরু হয়ে চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
৩০ কোটি টাকা উত্তোলনে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করবে প্রতিষ্ঠানটি। সংগৃহীত অর্থে ভবন নির্মাণ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম স্থাপন, যন্ত্রপাতি ক্রয় ও আইপিওর ব্যয় নির্বাহ খাতে খরচ করা হবে কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে। ২০১৯ সালের ৩০ জুন হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ডমিনেজের শেয়ারপ্রতি আয় ছিল (ইপিএস) ১ টাকা ৪৯ পয়সা। ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৯ টাকা ৮১ পয়সা। গত পাঁচ হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফার গড় হারে ইপিএস ১ টাকা ৪৭ টাকা।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনায় রয়েছে শাহজালাল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। ডমিনেজ স্টিল বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির এ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তির ছোঁয়া ছাড়া আধুনিক জীবন অকল্পনীয়। ডমিনেজ স্টিল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে চলছে।
ডমিনেজ সম্পর্কে জানতে চাইলে শাহজালাল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মহীউদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘ভুমিকম্প নিয়ে ঢাকাসহ পুরো দেশে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ক্ষেত্রে স্টিল স্ট্রাকচার হতে পারে আদর্শ সমাধান’। তিনি ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেম লিমিটেডের সাফল্য কামণা করেন


দ্য রিপোর্ট/এএস/১৪অক্টোবর,২০২০