দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান বলেছেন, ‘ওয়ালটন কারখানা পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত এবং পরিবেশবান্ধব। ওয়ালটন আমাদের দেশের জন্য বড় অর্জন। গৌরবের বিষয়। আমদানিনির্ভরতা থেকে তারা আমূল পরিবর্তন এনেছে। দেশীয় চাহিদা পূরণ হচ্ছে। আবার রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। ওয়ালটন কারখানা দেখে আমি অভিভূত।’

শনিবার (১৭ অক্টোবর) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হাসান, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব শহীদুল ইসলাম পাটোয়ারি এবং গাজীপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন।

এ সময় পরিবেশ সচিব ‘ইনভার্না’ নামে ওয়ালটনের নতুন মডেলের এসি উদ্বোধন করেন। ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎসাশ্রয়ী টুইনফোল্ড ইনভার্টার প্রযুক্তির ওই এসির কম্প্রেসরে ব্যবহার করা হয়েছে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর ৪১০-এ রেফ্রিজারেন্ট।

পরিবেশ সচিব বলেন, ‘ওয়ালটনের উৎপাদনের যে সক্ষমতা, সেটা সবগুলো স্তরে আমাদের দেশের প্রকৌশলীরা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছেন। মন্ট্রিল প্রোটোকল অনুযায়ী ওজোন স্তরের জন্য ক্ষতিকারক যেসব পদার্থের ব্যবহার হ্রাসের টার্গেট নেওয়া হয়েছিল, ওয়ালটনের মাধ্যমে আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করায় বিশ্বজুড়ে আমরা প্রশংসিত হয়েছি। পরবর্তী সময়ে কিগালি অ্যামেন্ডমেন্ট অনুযায়ী এইচসিএফসি গ্যাসের নিঃসরণ রোধের যে লক্ষ্য আছে, তা নিয়ে কাজ চলছে। আশা করছি, এ লক্ষ্যও আমরা সফলতার সঙ্গে অর্জন করতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ালটন কারখানায় সুন্দর কর্মপরিবেশ। কর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বেসরকারি খাতের জন্য ওয়ালটন শিক্ষণীয়। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে প্রোমোট করা প্রয়োজন। ওয়ালটন থেকে গ্রিন ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনের শিক্ষা সবাই নিতে পারে।’

এর আগে সকালে কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছালে অতিথিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম এবং নিশাত তাসনিম শুচি।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা ও আলমগীর আলম সরকার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, উদয় হাকিম, মো. তানভীর রহমান, কর্নেল (অব.) এস এম শাহাদাত আলম, তৌফিক-উল-কাদের ও ইউসুফ আলী, সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শরীফ হারুনুর রশীদ ছনি ও শাহজাদা সেলিম, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।

অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হাসান বলেন, ‘ওয়ালটন কারখানা সরেজমিনে পরিদর্শন করে আমরা সমৃদ্ধ হয়েছি। আশা করি, বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে ওয়ালটনের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসবে।’

ওয়ালটন কারখানার প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টারে ফ্রিজ দেখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান ও অতিথিরা

শনিবার সকালে কারখানা প্রাঙ্গণে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের ওপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। পরে অতিথিরা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টারসহ রেফ্রিজারেটর, মোল্ড অ্যান্ড ডাই, কম্প্রেসর, এয়ার কন্ডিশনার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, টেলিভিশন ইত্যাদি পণ্যের পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে ঘুরে দেখেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৯ অক্টোবর, ২০২০)