দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে কাজ করবে বলে চীনকে জানিয়েছে মিয়ানমার।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ‌্যায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই টেলিফোনে আলাপকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে এ কথা জানান।

শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওয়াং ই বলেন, ‘চীন রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। সম্প্রতি মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে চীনকে আশ্বস্ত করেছে।’

ওয়াং ই আরও বলেন, ‘চীনকে মিয়ানমার জানিয়েছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা শুরু করবে।’ মিয়ানমারের নির্বাচনের পর প্রথমত রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে, পরবর্তীতে বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের মন্ত্রী পর্যায়ের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি ড. মোমেনকে আশ্বস্ত করেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ঢাকায় প্রস্তুতিমূলক সিনিয়র কর্মকর্তা পর্যায়ের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক দ্রুত শুরু করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

চীনের করোনার ভ‌্যাকসিন বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবে বলে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন। করোনা পরবর্তীকালে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ও চীন একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে উল্লেখ করেন ওয়াং ই।

মহামারি করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতি চীনের সাহায্য অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

করোনার কারণে চীনের যেসব প্রকল্প স্থগিত বা ধীরগতি হয়েছে সেগুলো করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে দ্রুত শেষ করা হবে বলে জানান ওয়াং ই।

পিরোজপুরে চীনের নাগরিক হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, এ হত্যার দ্রুত বিচারের পাশাপাশি চীনের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপের ওপর চীন সরকার আস্থাশীল।

এ সময় ড. মোমেন উল্লেখ করেন, এ ঘটনায় প্রধান আসামিসহ দু’জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে।’
করোনায় আটকে পড়া চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকদের ভিসা নবায়নের বিষয়ে ওয়াং ই’কে অনুরোধ জানান ড. মোমেন।

এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের চীনে প্রবেশের বিষয়ে সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বাংলাদেশিদের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি চীনা ভাষায় অনুবাদের উদ্যোগের বিষয়ে চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৩ অক্টোবর, ২০২০)