দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ডিএসইর সামনেই পুঁজিবাজারে কারসাজি হচ্ছে  উল্লেখ করে  প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান  এফ রহমান বলেছেন, ১০ বছর ধরে কারখানা ও উৎপাদন বন্ধ রয়েছে এমন  কোম্পানির শেয়ার নিয়ে ডিএসইর ব্রোকাররা কারসাজি  করছে। ডিএসইর সামনেই তারা বন্ধ থাকা কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়াচ্ছে। তারা এগুলো প্রকাশ্যেই করছে। কিন্তু ডিএসই কিছু বলছে না।  কোনো ব্যবস্থা পর্যন্ত নিচ্ছে না। ডিএসইকে এই মনোভাব থেকে বের হয়ে আসতে হবে।  

শনিবার (৩১ অক্টোবর) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) যৌথভাবে আয়োজিত ‘পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পৃথিবীর যেকোন দেশের পুঁজিবাজারে যদি কোন কারসাজি হয়ে থাকে, সবার আগে সে দেশের স্টক এক্সচেঞ্জ সে কারসাজি ধরে। দেশের বাজারে কোন কারসািজি হলে এটা ধরার দায়িত্বস্টক এক্সচেঞ্জের। বিএসইসিতো অনেক পরের বিষয়।স্টক এক্সচেঞ্জেগুলোতেইপ্রতিদিন লেনদেন হয়। লেনেদেনে কোন ধরনের অনিয়ম দেখা দিলে সেটা বুঝতে পারা যায়। কিন্তু যে কোম্পানি বন্ধ সেসব কোস্পানির শেয়ারেরও দাম বাড়ে আমাদের পুজিঁবাজারে।কারা এসব কোম্পানির শেয়ার কিনে এবং কারা বিক্রি করে, তা স্টক এক্সচেঞ্জ সবই জানলেও তারা কিছু বলছে না। পরে,লোকজন ক্ষতির মুখে পড়ে সরকারকে দোষারোপ করে।’

পুঁজিবাজারের দায়িত্ব শুধু সরকার, অর্থমন্ত্রণালয় ও বিএসইসির নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জের কাজ বসে থাকা নয় । তাদেরকে শক্তিশালী হতে হবে।

ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি বিনিয়োগ করেছেন, আপনাকেই জেনে-শুনে করতে হবে। লাভ-লোকসান আপনার। আপনাদেরনিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

দেশের পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জে ৮০-৮৫ শতাংশই রিটেইল বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করে থাকে। এটা বড় দূর্বলতা। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অবদান খুবই কম। আর বাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অংশ ৩ শতাংশ বলা হলেও লেনদেনে তাদের অংশগ্রহণ আরও কম।

দেশের পুঁজিবাজারকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বিও (বেনিফিশিয়ারি)একাউন্ট ডিজিটাল হওয়া উচিত উল্লেখ্য করে সালমান এফ রহমান বলেন, এটা ডিজিটাল হলে একদিকে যেমন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সুবিধা হবে অন্যদিকে,যে কেউই বাসায় বসেই একাউন্ট খুলে বিনিয়োগ করতে পারবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)- এর প্রেসিডেন্ট শামস মাহমুদ এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ।

অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমবিএর ভাইস-প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান।অনুষ্ঠানে বিএমবিএর সভাপতি ছায়েদুর রহমান ও সিএমজেএফের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেলস্বাগত বক্তব্য রাখেন।

দ্য রিপোর্ট/এএস/৩১অক্টোবর,২০২০