দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীর ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত একমাত্র আসামি মজনুকে আজ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এর আগে তাকে বেলা ২টার দিকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসার পর উপস্থিত সবাইকে তিনি ‘ছেড়ে দেয়ার’ আর্জি জানাতে থাকেন।

এসময় চিৎকার বলতে শোনা যায়, ‘আমারে ছাইড়া দেন, ঢাকায় আর আসমু না, বাড়ি চইলা যামু, আমারে ছাইড়া দেন। আমি পাগল মজনু। আইজকা ছাইড়া দ্যান। আমারে মারছে। কাশিমপুরে মশা। আমারে কোনো কিছু খাতি দ্যায় নাই।’

ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনা‌লের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার বৃহস্পতিবার দুপুরে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এক পর্যায়ে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাজত পুলিশের এক সদস্যের ঘাড় চেপে ধরেন আসামি মজনু। এরপর কাঁদতে কাঁদতে কোর্ট হাজতের ওসির কাছে অভিযোগ জানাতে থাকেন এবং পুলিশ সদস্যদের গালাগাল শুরু করেন।

তার চিৎকার চেচামেচিতে বাধ্য হয়ে এক পর্যায়ে বিচারক সাংবাদিক ও উৎসুক আইনজীবীদের বাইরে বারান্দায় যেতে বলে শুধু জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের একজনকে এজলাসে থাকার অনুমতি দেন।

এর আগে দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১২ নভেম্বর বিচারক এ মামলার রায়ের জন্য ১৯ নভেম্বর দিন রাখেন।

গ্রেপ্তারের পর রিমান্ড শেষে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন মজনু।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মা ছাড়া পৃথিবীতে কেউ নেই। আমাকে মায়ের কাছে যাইতে দেন। আমি এই কাম করি নাই। আমারে ছাইড়া দ্যান।’

তবে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী রুদ্ধদ্বার আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মজনুকে ধর্ষণকারী হিসেবে শনাক্ত করেছিলেন। তিনি র‌্যাবকেও বলেছিলেন, তার উপর নিপীড়নকারীর চেহারা জীবনেও ভুলতে পারবেন না তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৯নভেম্বর, ২০২০)