দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানিতে শেয়ারহোল্ডারদের অদাবিকৃত অলস পড়ে থাকা  ২১ হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজারের উন্নয়নে কাজে লাগানোর  সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য একটি বিনিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে কমিশন। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

 

 

 

 

 

 

 

সূত্রমতে, নীতিমালার আওতায় ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবলিস্টমেন্ট ফান্ড অব বিএসইসি’ নামে একটি ফান্ড গঠন করবে কমিশন। ফান্ডের প্রাথমিক মূলধন হবে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা ।ফান্ড পরিচালনায় ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হবে। কমিটিতে বিএসইসি থেকে চার জন,ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ,সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ও সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডে (সিসিবিএল) থেকে একজন করে প্রতিনিধি থাকতে । তবে কমিটি গঠনে প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্তিতে সিদ্ধান্ত বদলও হতে পারে।

জানা যায়, বিভিন্ন কোম্পানিতেঅদাবিকৃত লভ্যাংশের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) দায়িত্ব দেয় বিএসইসি। পরবর্তীতে ডিএসই ২১৮টি কোম্পানির কাছে অপরিশোধিত লভ্যাংশের তথ্য চায় যার মধ্যে ২০৮টি কোম্পানি তথ্য দেয়।ডিএসইর প্রতিবেদনে, ২১৮ টি কোম্পানিতে অদাবিকৃত বোনাস লভ্যাংশের পরিমাণ ১১ হাজার ১০৪ কোটি ৪৮ লাখ ও নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ ৬৩৪ কোটি ৬৬ লাখ অলস টাকার তথ্য পাওয়া যায়।

অন্যদিকে, সিএসইর পক্ষ থেকে ১৫৩টি কোম্পানি কাছে তথ্য চাওয়া হলে তথ্য দেয় ১২৭টি কোম্পানি।সিএসইর হিসাব অনুসারে অদাবিকৃত বোনাস লভ্যাংশের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৮৮১ কোটি ৮০ লাখ ও নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ ৩২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বেশি। এ হিসাবে কোম্পানিগুলাতে শেয়ারহোল্ডারদের মোট লভ্যাংশ পাওনার পরিমাণ জমা রয়েছে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। যেহেতু সব কোম্পানি এখনো তথ্য দেয়নি তাই ধারণা করা হচ্ছে টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

দ্য রিপোর্ট/এএস/৭জানুয়ারি,২০২১