দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অভিনেতা মুজিবুর রহমান দিলু। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর বনানীতে বাবার কবরে সমাহিত করা হয় তাকে। বনানী কবরস্থানের বাইরে এই মুক্তিযোদ্ধাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়।

এর আগে সকালে হাসপাতাল থেকে দিলুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় দীর্ঘদিনের কর্মস্থল শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে কিছু সময় রাখার পর নিয়ে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ প্রাঙ্গণে। সেখানেই তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সর্বজনের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য বিকাল ৩টায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। এ সময় তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন ভক্ত, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানী কবরস্থানে।

মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে নগরীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দিলু। ২০০৫ সালে গুলেন বারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন কোমায় ছিলেন তিনি। পরে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপন শুরু করেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন ৬৯ বছর বয়েসি এই অভিনেতা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন মুজিবুর রহমান দিলু। তার উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক হলো—‘আমি গাধা বলছি’, ‘নানা রঙ্গের দিনগুলি’, ‘জনতার রঙ্গশালা’, ‘নীল পানিয়া’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘ওমা কী তামাশা’ প্রভৃতি।

১৯৭২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী হন দিলু। ১৯৭৬ সাল থেকে টেলিভিশনে নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন। ‘সংশপ্তক’ নাটকে মালু চরিত্রে অভিনয় করে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৯ জানুয়ারি, ২০২১)