দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। শিশু শিল্পী হিসেবেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। এরপর পড়াশোনার জন্য লম্বা বিরতি। তবে গত বছরের শেষের দিকে চলচ্চিত্রে দীঘির রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটে।

দীঘি জানান, পুরোদস্তর নায়িকা হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করছে যাচ্ছেন তিনি। যেমন কথা তেমন কাজ। এরই মধ্যে দুটি সিনেমার কাজও শেষ করেছেন তিনি। যার একটি দেশের স্বনামধন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার ব্যানারে।

যদিও শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান দিঘীকে নিয়ে ছয়টি ছবির ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু ঘোষণার ছয় মাস না পেরুতেই শোনা যাচ্ছে, শাপলা মিডিয়ার বাকি সিনেমাগুলো থেকে বাদ দেয়া হয়েছে দীঘিকে। যা ক্যারিয়ারের শুরুতেই ‘হোঁচট’ খাওয়ার মতো অবস্থা।

বাস্তবচিত্র তাই বলছে! শাপলা মিডিয়ার নতুন কোনো সিনেমায় দীঘিকে দেখা যাচ্ছে না। অন্য নায়িকা নিয়ে নতুন সিনেমার কাজ শুরু করেছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি।

শাপলা মিডিয়া মিডিয়ার ব্যানারে ‘যোগ্য সন্তান’ নামে একটি সিনেমা পরিচালনা করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন গুণী নির্মাতা কাজী হায়াত; যার নায়ক নায়িকা দিঘী-শান্ত খান।

ছবিটির সর্বশেষ অবস্থা জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, ওই সিনেমাটি হবে না। সাইনিংয়ের পরই এটার কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। যতদূর জানি, ওই সময়ে যে কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, তার সবগুলো প্রজেক্টই এখন বন্ধ।

তবে শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততার অজুহাতে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান।

এতগুলো সিনেমা থেকে একসঙ্গে বাদ পড়ার বিষয়ে দিঘীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

বর্তমানে দীঘির হাতে একটি সিনেমার কাজ রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নির্মিতব্য বায়োপিকে ‘রেনু’র কিশোরীবেলার চরিত্রে দেখা যাবে দীঘিকে। এছাড়া ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ ও ‘তুমি আছ-তুমি নেই’ নামে দুটি ছবির কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৮ জানুয়ারি, ২০২১)