দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: উদ্বোধনী দিনে ২৬ জনকে দেওয়ার পর রাজধানী ঢাকার ৫টি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। আজ সকাল ৯টা থেকে এসব হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, টিকা প্রয়োগ করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারটি, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারটি, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চারটি এবং কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে একটি বুথ করা হয়েছে। এই পাঁচটি হাসপাতালে ৫০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে আমাদের।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে গিয়ে সকালে করোনাভাইরাসের টিকা নেন। তিনিই দেশের প্রথম সংসদ সদস্য এবং সরকারের প্রতিমন্ত্রী, যিনি টিকা পেলেন।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে বুধবার বিকালে বহু প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় বাংলাদেশে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং প্রথম পাঁচজনকে টিকা দেওয়া দেখেন।

প্রথম দিন সব মিলিয়ে ২৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়, যাদের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা, যা ‘নিরাপদ এবং অধিকাংশের ক্ষেত্রে কার্যকর সুরক্ষা দিতে পারে’ বলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে। আট সপ্তাহের ব্যবধানে এ টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে সবাইকে।

বাংলাদেশে যেহেতু এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী প্রথম দফায় ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তির ওপর এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে।

সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তারা ১০০ জন কর্মীকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৮ জানুয়ারি, ২০২১)