দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনার টিকাদানে বিশ্বে এগিয়ে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সদস্য ১৯৫টি দেশের মধ্যে ১৩০টি দেশে এখনও পৌঁছেনি করোনার টিকা। বিশ্বে দৈনিক টিকা দেয়ার হার বিবেচনায় অষ্টম অবস্থান বাংলাদেশের। আর দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা পেতে সঠিক সময়ে অর্থ বিনিয়োগ এবং বুদ্ধিদ্বীপ্ত দুতিয়ালি ও সম্প্রসারিত টিকাদানের অভিজ্ঞতার কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ।

করোনা অতিমারি ঠেকাতে টিকা আবিষ্কার হলেও তা এখনো সব দেশে পৌঁছায়নি। বিশ্বের অনেক দেশে টিকার জন্য চলছে হাহাকার। জাতিসংঘ বলছে, এখন পর্যন্ত মোট টিকার ৭৫ শতাংশই ১০টি দেশের হাতে। শুধু তাই নয়, তাদের সদস্য ১৯৫টি দেশের মধ্যে মাত্র ৬৫টি দেশে গেছে করোনার টিকা। এখনও বাকি রয়ে গেছে ১৩০টি দেশ।

গত ডিসেম্বরে বিশ্বে প্রথম করোনার টিকা দেয়া শুরু হয় যুক্তরাজ্যে। বাংলাদেশে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয় ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে সরকার বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়ায় অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে বংলাদেশ। সরকারি হিসেবে, দেশে প্রতিদিন দুই লাখেরও বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে।

বিশ্বে টিকা দেয়ার দৈনিক হার বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। এখন পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৯ লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে।

টিকা দেয়ার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং এ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতার কারণে বাংলাদেশ অল্প সময়ে এতো বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করতে পেরেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে এনিয়ে আত্মতুষ্টিতে না ভুগে আরো কাজ করার আছে বলেও মন্তব্য তাদের। টিকা দান কমূর্সচির পাশাপাশি যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে বাংলাদেশ দ্রুতই করোনামুক্ত দেশ হবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)