দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাশিমপুর কারাগারে মারা যান ৫৩ বছর বয়সী এই অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট। ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেয়ার অভিযোগে করা এক মামলায় যিনি নয় মাস আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

মুশতাকের মৃত্যু নিয়ে স্বজনরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে না চাইলেও তার সহকর্মীরা নানা অভিযোগ করেছেন।

ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসক জানান, গতরাতে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার শরীরে আঘাত কিংবা কোন লক্ষ্মণ পাওয়া যায়নি।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সাফি মোহাইমেন জানান, কারাবন্দি মোস্তাক আহমেদ নামে ওই কয়েদিকে রাতে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তবে এখানে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু তিনি কারাবন্দি ছিলেন তাই প্রটোকল অনুযায়ী তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। ময়নাতদন্তে তার শরীরে বাহ্যিক কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার ভেতরের ইন্টারনাল অর্গান সংরক্ষণ করা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মৃত্যুর কারণ বের করা যাবে।

মোশতাক আহমেদ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি বাংলাদেশে কুমির চাষের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)