দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে চলা বিক্ষোভে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ১৮ জন নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব। বিক্ষোভে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে এই হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন।

খবরে বলা হয়েছে, নিহতদের সবাই পুলিশের ছোড়া গুলি, গ্রেনেড ও টিয়ার শেলের আঘাতে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নিরাপত্তা বাহিনীর নজিরবিহীন দমনপীড়ন ও গণগ্রেফতার গ্রহণযোগ্য নয়। খবর বিবিসির

শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশি সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের নির্বিচারে গ্রেফতার এবং তাদের ওপর প্রাণঘাতী শক্তির ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারের জনগণের যে ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে তার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে এবং দমনপীড়ন বন্ধ করতে হবে।’

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এরই মধ্যে অভ্যুত্থানের জেরে মিয়ানমারে সব ধরনের সহায়তা বন্ধের পাশাপাশি দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে একমত হয়েছেন ইউরোপের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনী সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য সহিংসতা চালিয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।

এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রতি সহিংসতা থামানো এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রদপ্তর

জনগণের বিক্ষোভে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও নেতা মিয়ানমারের সাধারণ জনগণের ওপর নিরাপত্তাবাহিনীর সহিংস আচরণের নিন্দা জানিয়েছে।

গত পহেলা ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত নেতাদের গ্রেপ্তার করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানের ২৮তম দিনে বিক্ষোভকারীদের ওপর সবচেয়ে বেশি সহিংস হয়ে ওঠে নিরাপত্তাবাহিনী। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস এই ঘটনাকে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের ভয়াবহতম দিন হিসেবে উল্লেখ করেছে। প্রথম কয়েক সপ্তাহ সেনা সরকার বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হিসেবে নিলেও ক্রমশ বিক্ষোভকারীদের ভয়াবহভাবে দমন শুরু করেছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০১ মার্চ, ২০২১)