দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের মধ্য থেকে আরও দুই হাজার ২৬০ জনকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচরে নেয়া হয়েছে।

বুধবার নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজে করে চট্টগ্রাম থেকে এসব রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পৌঁছানো হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চম দফার দ্বিতীয় দিনে আরও দুই হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচর যাবে।

চট্টগ্রাম বোট ক্লাব জেটিঘাটে জাহাজের বহরকে বিদায় জানান ও স্থানান্তর প্রক্রিয়া তদারকি করেন চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম মোজাম্মেল হক ও নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জানা যায়, ঘন কুয়াশার কারণে আজ জাহাজ ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। জাহাজের বহরটি দুপুর আড়াইটার দিকে পর্যায়ক্রমে ভাসানচর পৌঁছে। এ ছয়টি জাহাজের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের মালামালবোঝাই আরও একটি জাহাজ রয়েছে। এসব মালামালের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সাথে অনেকেই তাদের পালিত হাঁস-মুরগিও নিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ৫০টিরও বেশি বাসে করে এদের চট্টগ্রামে আনা হয়। গভীর রাতে পৌঁছে পতেঙ্গার বিএএফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পে খাওয়া-দাওয়াশেষে তারা সেখানে রাত যাপন করে।

রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছরের ৪ ডিসেম্বর। প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যায়। দ্বিতীয় ধাপে ২৯ ডিসেম্বর এক হাজার ৮০৫ জনকে ভাসানচর নেয়া হয়। তৃতীয় ধাপে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি দুই দিনে তিন হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পৌঁছে দেয়া হয়। চতুর্থ ধাপের প্রথম দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি দুই হাজার ১৪ জন ও দ্বিতীয় দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর স্থানান্তরিত হয়।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চম ধাপের দ্বিতীয় দিনের স্থানান্তর প্রক্রিয়া শেষ হলে ১৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে ভাসানচর পৌঁছাবে। সরকার মোট এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে। সেখানে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন গুচ্ছ আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৩ মার্চ, ২০২১)