দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) শুরুর আগে থেকেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) জৈব সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ ছিল। সেটারই প্রমাণ মিলেছে দেশটির ঘরোয়া এ টুর্নামেন্ট চলাকালিন। যার প্রভাবে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই চলতি পিএসএল স্থগিত করল পিসিবি। ব্যাপারটি বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।

কয়েকদিন আগেই পিএসএলে অংশ নেয়া তিনজন ক্রিকেটার ও একজন কোচিং স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হন। তারপরও টুর্নামেন্ট কতৃপক্ষ ব্যাপারটিকে তেমন পাত্তা দেয়নি। তাইতো আবারও তিন ক্রিকেটারের করোনা আক্রান্তের খবর মেলে। শেষ পর্যন্ত তাই আর কোন ঝঁকি নেয়নি পিএসএল কতৃপক্ষ। টুর্নামেন্ট স্থগিত করে দিল।

গত ১ মার্চ ফাওয়াদ আহমেদ প্রথম বায়ো বাবলের মধ্যে থেকে কোভিডে আক্রান্ত হন। এরপরের দিনেই করাচি কিংসের সাপোর্ট-স্টাফ সদস্য কামরান খানের পাশাপাশি কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের টম ব্যান্টনেরও পজিটিভ হওয়ার খবর আসে। বৃহস্পতিবার যখন নতুন করে আরও তিন জনের পজিটিভ হওয়ার খবর আসে, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছে পিসিবি। এর পরেই ঘোষণা আসে লিগ স্থগিত হওয়ার। পিসিবি অবশ্য লাহোর থেকে সরিয়ে করাচি নিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছিল। কিন্তু সেটা করা যায়নি।

বৃহস্পতিবার পিএসএল স্থগিতের ব্যাপারে এক বিবৃতিতে পিসিবি বলেছে, ‘গত ২০ জানুয়ারি থেকে পিএসএলে অংশ নেওয়া ক্রিকেটার এবং স্টাফদের মধ্যে সাতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার এই প্রভাবের কথা চিন্তা করে তাই আসরটি স্থগিত করা হচ্ছে। পিএসএলে মোট ম্যাচ হওয়ার কথা ৩৪টি। এর মধ্যে মাত্র ১৪টি ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে।’

পিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানিয়েছে, ‘তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ হিসেবে বোর্ড পিএসএলে অংশ নেওয়া ছয় দলের ক্রিকেটার এবং স্টাফদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার কথা চিন্তা করে পিসিআর টেস্ট, করোনা টিকা এবং মানসম্মত কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করবে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৪ মার্চ, ২০২১)