দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল ঘোষণা দিয়ে একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করে যাচ্ছেন। গত আড়াই মাসে তিনি নতুন দুটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। এর একটি হচ্ছে, ‘অমানুষ হলো মানুষ’। অন্যটি ‘বাংলার হারকিউলিস’। দুটি সিনেমাই পরিচালনা করেছেন মনতাজুর রহমান আকবর।

নতুন খবর হচ্ছে, প্রতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে ডিপজল নতুন সিনেমার কাজ শুরু করবেন। গত মাসের ১৬ তারিখ শুরু করেছিলেন নতুন সিনেমা বাংলার হারকিউলিস সিনেমার কাজ। একটানা শুটিং করে গত সপ্তাহে সিনেমাটির কাজ শেষ করেন। শেষ করেই ১৬ মার্চ থেকে নতুন সিনেমার কাজ শুরু করবেন বলে জানান ডিপজল।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমি প্রায় এক ডজন সিনেমার স্ক্রিপ্ট তৈরি করেছি। সব প্রস্তুতি শেষে এখন এগুলোর কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে দুটির কাজ শেষ হয়েছে। ১৬ তারিখ থেকে নতুন সিনেমার কাজ শুরু হবে।

ডিপজল বলেন, সিনেমার যে দুর্দশা চলছে, তা কাটিয়ে উঠতে ভালো গল্পের নতুন সিনেমা প্রয়োজন। একের পর এক সিনেমা মুক্তি দিলে স্থবির হওয়া চলচ্চিত্র চাঙ্গা হয়ে উঠবে। সিনেমার কর্মহীন মানুষজনও কাজের সুযোগ পাবেন।

এই অভিনেতা বলেন, ২০০৬ সালে চলচ্চিত্র যখন অশ্লীল সিনেমার আগ্রাসনে নিমজ্জিত ছিল, তখন ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘চাচ্চু’, ‘মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি’সহ একের পর এক গল্পসমৃদ্ধ সুস্থধারার সিনেমা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। রিস্ক নিয়েই এ কাজ শুরু করি। দেখা গেল, চলচ্চিত্রে অশ্লীল সিনেমার মধ্যে সুস্থ ধারার সিনেমার জয়জয়কার শুরু হয়। আমি মনে করি, চলচ্চিত্রের দুর্দশা কাটাতে কাউকে না কাউকে উদ্যোগ নিয়ে ভালো গল্পের সিনেমা নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। সে সময় আমি দর্শক কি ধরনের সিনেমা পছন্দ করতে পারে, তা অনুধাবন করে সিনেমা নির্মাণ করি। ফলে সেসব সিনেমা সুপারডুপার হিট হয়।

তিনি আরও বলেন, সিনেমা নির্মাণ করলেই হবে না। দর্শকের মন বুঝে গল্পসমৃদ্ধ সিনেমা নির্মাণ করতে হবে। চলচ্চিত্রের বর্তমান স্থবির অবস্থা কাটাতে আমি আবারও একের পর এক সিনেমা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতি মাসে একটি করে বছরে অন্তত বারটির বেশি সিনেমা নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ সিনেমাগুলো একে একে মুক্তি দেব। আশা করি, এতে দর্শক হলমুখী হবেন। আমার কথা হচ্ছে, গল্প সমৃদ্ধ ভালো সিনেমা উপহার দিলে দর্শক নিশ্চয়ই দেখবেন।

ডিপজল বলেন, আমার নতুন সিনেমাগুলোতে দক্ষ পরিচালক দিয়ে নতুন শিল্পী নিয়ে কাজ করছি। এতে কিছুটা হলেও চলচ্চিত্রের শিল্পী সংকট দূর হবে। আমি দুটি সিনেমায় নতুন নায়িকা মৌ খানকে নিয়ে কাজ করেছি। জয় চৌধুরীকে নিয়েছি। পরের সিনেমায় আরও নতুন নায়ক-নায়িকা যুক্ত হবে। নতুনদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজ করলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। আবার নতুনদের পাশাপাশি পুরোনো পরিচিত নায়ক-নায়িকাদের নিয়েও কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। ফলে চলচ্চিত্রে কিছুটা হলেও প্রাণের সঞ্চার হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমি আমার জায়গা থেকে একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করছি। অন্য প্রযোজকদেরও এগিয়ে আসা উচিত। তারা যদি বৈচিত্র্যপূর্ণ গল্পের সিনেমা নির্মাণ করেন, তবে সিনেমা গতি পাবে। ভালো গল্পের সিনেমা নির্মাণের উদ্যোগ না নিলে সিনেমার সংকট কাটানো কঠিন হয়ে পড়বে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৬ মার্চ, ২০২১)