দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সরকার সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এটি কার্যকর হচ্ছে। যদিও রবিবার বিকাল পর্যন্ত একরকম অন্ধকারেই ছিলেন টিভি নাটক সংশ্লিষ্টরা। কারণ, সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনও নির্দেশনা আসেনি।

তবে এদিন সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত আন্তসংগঠনের জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে একটি যৌথ নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়। যেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়, লকডাউন চলাকালে (৫-১১ এপ্রিল) নাটকের শুটিং করতে হবে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। অবশ্যই সেটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং শিল্পী-কুশলী-নির্মাতাদের যৌথ সম্মতিতে হতে হবে।

এফটিপিও চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ, টেলিপ্যাব সভাপতি ইরেশ যাকের ও সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির, ডিরেক্টরস গিল্ড সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর, অভিনয়শিল্পী সংঘ সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজা ও সাধারণ সম্পাদক এজাজ মুন্না স্বাক্ষরিত এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে—

সব সদস্যের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউনের (৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল ২০২১) সময় সকল প্রকার শুটিংয়ের কাজ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়ংকর রূপ ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্যঝুঁকি ও সামাজিক নিরাপত্তা উপেক্ষা করা সুবিবেচনাপ্রসূত হবে না। তাই সংশ্লিষ্ট সব শিল্পী কলাকুশলীদের এই ৭ দিন জনসমাগমস্থল এড়িয়ে চলার জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরুরি শুটিং কিংবা বিশেষ করে প্রচারিতব্য পর্ব হাতে নেই, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আন্তসংগঠনের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ শেষ করে নিরাপদে গৃহে অবস্থান করুন।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও শিল্পী, কলাকুশলীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শুটিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে জোর করা যাবে না। এবং শুটিং শুরু ও শেষ করতে হবে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে।

যদি সরকার সকল প্রকার কর্মকাণ্ড লকডাউনের মধ্যে বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়, তাহলে শুটিংও বন্ধ রাখার নির্দেশনা আসতে পারে।

আন্তসংগঠনের পক্ষ থেকে সদস্যদের এটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়, ‘এ জীবন মানুষ একবারই পায়। তাই ভয়ংকর মহামারি করোনার তীব্রতাকে উপেক্ষা করে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের জীবন বিপন্ন করে তুলবেন না।’

এর আগে, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর ২২ মার্চ থেকে টিভি নাটকের শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নাটকের সংগঠনগুলো। সেটি আবার উন্মুক্ত করা হয় একই বছরের ১ জুন থেকে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৫ এপ্রিল, ২০২১)