দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ফরিদপুরের সালথায় বিভিন্ন অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আহত হাফেজ জুবায়ের হোসেন (২৫) নামে একজন মারা গেছেন। সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

নিহত জুবায়ের হোসেন রামকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আশরাফ আলীর ছেলে।

এর আগে, পুলিশের গুলিতে দুইজনের মৃত্যু ও বাহিরদিয়া মাদরাসার মাওলানা আকরাম হোসেন এবং জনৈক আরেক মাওলানার গ্রেফতারের গুজব ছড়িয়ে হামলা চালানো হয় ফরিদপুরের সালথার বিভিন্ন সরকারি দফতরে। সোমবার রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা চত্বরে লাঠিসোটা নিয়ে প্রবেশ করে উপজেলা পরিষদ, থানা, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন, উপজেলা কৃষি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সালথা উপজেলা সদর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলাকারীরা তিন ঘণ্টা ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তাদের হামলা থেকে রক্ষা পায়নি উপজেলা কমপ্লেক্সের গাছপালা, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ নানা স্থাপনা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সালথা থানা পুলিশের পাশা-পাশি ফরিদপুর, বোয়ালমারী, ভাঙ্গা ও নগরকান্দা পুলিশ সদস্যসহ র‌্যাব, আনসার ৫৮৮ রাউন্ড শটগানের গুলি, ৩২ রাউন্ড গ্যাস গান, ২২টি সাউন্ড গ্রেনেড এবং ৭৫ রাউন্ড রাইফেলের গুলি ছুড়ে।

এ সময় আইশৃঙ্খলা বাহিনীর ৮ সদস্যসহ আহত হন কমপক্ষে ২০ জন। আহতদের মধ্যে জুবায়ের হোসেন (২৫) নামে এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৬ এপ্রিল, ২০২১)