দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সরকারি বিধি-নিষেধের দুইদিন পরই বুধবার ভোর থেকে দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গণপরিবহন চলছে বলে দাবি করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তবে পরিবহনের স্বল্পতা থাকায় যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

রাজধানীর অন্যান্য রুটের মত ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে গাবতলী, মোহাম্মদপুর, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও আবদুল্লাহপুর রুটে চলতে শুরু করেছে স্বাধীন, রমজান, অছিম, রাজধানী এবং আসমানি পরিবহনের বাস। এসব বাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাত্রী বহন করা হচ্ছে। তবে এই রুটে যাত্রীর তুলনায় গাড়ির সংখ্যা কম হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।

বুধবার সকালে নাগদারপাড় বাসস্ট্যান্ডের সামনে দাড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মধ্যবয়সী আবদুল হাকিম। তিনি নাগদারপাড় থেকে যাবেন বাড্ডা লিঙ্ক রোডে মেয়ের বাসায়। কিন্তু অনেকক্ষণ দাড়িয়েও তিনি কোনো বাসে উঠতে পারছিলেন না।

একই স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে ছিলেন রতন নামের এক দুধবিক্রেতা। তিনি নাগদারপাড় থেকে যাবেন মেরাদিয়া বাজারে। কিন্তু অনেকক্ষণ দাড়িয়েও তিনি বাসে উঠতে পারছেন না। রতন বলেন, প্রায় আধাঘণ্টার মত দুধের বালতি হাতে দাড়িয়ে আছি। কিন্তু বাসে উঠতে পারছি না। অনেক বাসই এসেছে; কিন্তু সিট খালি না থাকায় হেলপার বাসে উঠতে দিচ্ছে না।

রামপুরা, বনশ্রী, স্বপ্ন, আইডিয়াল স্কুল, রামপুরা ব্রিজের সামনেও দেখা গেছে একই চিত্র। সেখানেও যাত্রীরা বাসে উঠতে পারছিলেন না।

তবে এসব রুটের যাত্রীরা বেশ স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন। তারা অধিকাংশরাই মুখে মাস্ক ব্যবহার করেছেন। বাসের হেলপারাও দুই সিটের বিপরীতে একজন যাত্রী তুলেছেন। কোথাও অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দৃশ্য দেখা যায়নি।

এ ব্যাপারে স্বাধীন বাসের হেলপার সিদ্দিকুর রহমান জানান, সরকারের নির্দেশ মেনেই গাড়ি চালাচ্ছি। অতিরিক্ত যাত্রী নিচ্ছি না। আর যাত্রীরাও বেশ সচেতন রয়েছেন। তারাও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছেন।

এদিকে গণপরিবহন চালানোর অনুমতি দিলে বাসগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হবে। এছাড়া দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

পরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সবাই ও যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। এছাড়া প্রতি ট্রিপের পরে পরিবহন জীবাণুমুক্ত করার শর্তও দেয়া হয়েছে। অফিসগামীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে গণ-পরিবহন চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

এর আগে গত ৩০ মার্চ বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতিতে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৭ এপ্রিল, ২০২১)