দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। সংবাদমাধ্যমে পাঠানো দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদীসহ ১৭ জন নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

বিবৃতিতে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, বিগত ২৬ মার্চ শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নিরীহ শান্তিপ্রিয় মুসল্লিদের ওপর পুলিশের সহযোগী হেলমেট পরিহিত ও চাপাতি-রামদা হাতে একদল সন্ত্রাসী বিনা উসকানিতে আক্রমণ চালায়। পাশাপাশি পুলিশও মুসল্লিদের ওপর গুলি চালায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মুসল্লিরা আত্মরক্ষার্থে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলে।

তিনি বলেন, সেদিনের সংঘাতের ভিডিওগুলোতে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে কারা সহিংসতা উসকে দিয়েছিল। সারা দেশের মানুষ ঐ ভিডিওগুলো দেখেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও সেদিনের ঘটনা কভারেজ পেয়েছিল। সেদিন হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মসূচি ছিল না। সুতরাং, নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হেফাজতের ১৭ জন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। বলেন, এসব মামলা প্রত্যাহার না হলে আলেম-ওলামার সাথে বাড়বাড়ির কারণে সরকার নিঃসন্দেহে জনগণের কাছে আরো ঘৃণিত ও নিন্দিত হবে।

তিনি আরো বলেন, হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন। কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো কিংবা কাউকে ক্ষমতায় বসানো হেফাজতের কাজ নয়। আমরা শান্তিপ্রিয় এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে। কিন্তু হামলা-মামলা ও দমন-পীড়ন চালিয়ে কখনোই সহিংসতা রোধ করা সম্ভব নয়। প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ জানানো জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকার হরণ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না। কোনো বিদেশি আধিপত্যবাদী শক্তির প্ররোচনায় কোনো ধরনের আত্মঘাতী ও হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি শেষ করেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৯ এপ্রিল, ২০২১)