দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের জোট কোয়াডে বাংলাদেশের যোগ দেওয়া না দেওয়া নিয়ে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে মনে করছে না বেইজিং। সম্প্রতি চীনা রাষ্ট্রদূতের কোয়াডের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সেই বক্তব্যের তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বুধবার (১২ মে) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন বন্ধুত্বপূর্ণ ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি মূল নীতির ভিত্তিতে আমাদের সম্পর্ক বিকশিত হয়েছে।

বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক সাংবাদিকের প্রশ্নে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় নির্দিষ্ট করে বললে চীনই অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।

তিনি বলেন, আমরা সব সময় পারস্পরিক শ্রদ্ধাশীলতায় বিশ্বাস করি। দুই দেশ সবসময় একে অন্যের মূল স্বার্থ সুরক্ষা ও বড় বড় উদ্বেগের বিষয়গুলোতে পরস্পরকে জোরালো সহযোগিতা করি।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে সোমবার ঢাকায় ডিকাবের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বাংলাদেশকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট কোয়াডে যোগ না দেওয়ার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, কোয়াডে কোনোভাবে অংশ নিলে দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হবে। পরে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ মিন মোমেন চীনের রাষ্ট্রদূতের কাছে সোমবারের বক্তব্যের ব্যাখা চান। লি জিমিং ওই বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, ওই বক্তব্য সম্পর্ক নষ্ট করার উদ্দেশ্যে নয়। তিনি প্রসঙ্গের বাইরে গিয়ে সোমবার ওই বক্তব্য দিয়েছেন।

কোয়াড সম্পর্কে চুনইং বলেন, কোয়াড কোন ধরনের জোট, তা আমরা সবাই জানি। নির্দিষ্ট কিছু দেশ কর্তৃক ক্ষুদ্র জোট গঠন, চীনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে রাখা এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বিরোধ বাধানোর যে চেষ্টা, তার বিরোধিতা আমরা করি।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বড় অংশীদার চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং গত সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, ওই জোটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ‘ক্ষতি’ করবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪ মে, ২০২১)