দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) এবারের আসরে নিজেদের জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে আবাহনী লিমিটেড। ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ১০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুশফিকুর রহিমের দল।

১০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দেন আবাহনীর দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও নাইম শেখ। শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করেন মুনিম। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন নাইম।

দ্রুতগতিতে রান তুললেও ইনিংস বড় করতে পারেননি মুনিম। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে হাবিবুর রহমান জনির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। ১ ছক্কা ও চারটি চারে ১২ বলে ২৫ রান করে মুনিম ফিরলে ভাঙে তাঁদের দুজনের ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।

এরপর তিনে নেমে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মুশফিক। ছয়টি চারের সাহায্যে ২১ বলে ৩৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। যদিও ১৪ রানের সময় সাজঘরে ফিরতে পারতেন তিনি।

সুজন হাওলাদের বলে মিড উইকেটে তুলে মেরেছিলেন মুশফিক। কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আলাউদ্দিন বাবু সহজ ক্যাচ ‍লুফে নিতে পারেননি। এদিকে মুশফিকুরের সঙ্গে ২৬ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন নাইম। আর তাঁদের দুজনের জুটি থেকে এসেছে ৬৪ রান।

এর আগে ভালো শুরুর পরও ব্যর্থ হয়েছিলেন ব্রাদার্সের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। তবে শেষ দিকে আলাউদ্দিন বাবু ও জাহিদুজ্জামানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ১১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০১ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় দলটি।

৩ ছক্কা ও ১ চারে জাহিদুজ্জামান করেছেন ১০ বলে ২৫ রান। আর ২ ছক্কা ও ২ চারে ১০ বলে ২৪ রান করেছেন আলাউদ্দিন। আবাহনীর হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব আর দুটি আরাফাত সানি।

বৃষ্টির কারণে প্রায় ঘণ্টা তিনেক পর শুরু হয় আবাহনী ও ব্রাদার্সের তৃতীয় রাউন্ডের খেলা। এদিন টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও জুনায়েদ সিদ্দিকী।

দলকে ভালো শুরু এনে দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক মিজানুর। তানজিম হাসান সাকিবের করা পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যাকওয়ার্ড লেগে তুলে মারেন তিনি। তবে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আফিফ হোসেন ধ্রুব খানিকটা দৌঁড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে ১৪ বলে ২০ রান করা মিজানুরকে ফেরান।

ইনিংসটি খেলতে ২টি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। মিজানুর খানিকটা দ্রুতগতিতে রান তুললেও জুনায়েদ ব্যাট হাতে ভুগছিলেন। ২০ বলে ২৩ রানে করে আউট হলেও তিনি খুব একটা সাবলীল ছিলেন না।

বাঁহাতি এই ওপেনারকেও ফেরান সাকিব। এদিন থিতু হতে পারেননি মাইশুকুর রহমান ও রাহাতুল ফেরদৌস। এই দুজনকে ফিরিয়ে আরাফাত সানি হ্যাটট্রিক করার সুযোগ তৈরি করলেও শেষ পর্যন্ত হ্যাটট্রিকের দেখা পাননি।

এদিকে জুনায়েদ ও হাবিবুর রহমান জনিকে ফিরিয়ে সাকিবও হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তবে তৃতীয় বলে আলাউদ্দিন বাবুকে বাউন্সার দিলে তিনি খেলার কোন চেষ্টাই করেননি। ফলে সানির মতো হ্যাটট্রিক পাওয়া হয়নি সাকিবেরও।

৫১ রানে ৫ উইকেট হারালেও শেষ দিকে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে লড়াকুন সংগ্রহ এনে দিয়েছেন আলাউদ্দিন ও জাহিদুজ্জামান। তাঁদের দুজনের ৫০ রানের জুটিতে ১০১ রানের সংগ্রহ পায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। যেখানে শেষ তিন ওভারেই তাঁরা ৫০ রান তুলেছেন। এই সময় তাইজুল ইসলামকে এক ওভারে দুটি ছক্কা মেরেছেন আলাউদ্দিন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ১০১/৫ (ওভার ১১) (আলাউদ্দিন ২৪*, জাহিদুজ্জামান ২৫, মিজানুর ২০, জুনায়েদ ২০, সানি ২/৫, সাকিব ৩/৯)

আবাহনী: ১০২/১ (ওভার ৯.৫) (মুশফিক ৩৭*, নাইম ৩৬*, মুনিম ২৫, হাবিবুর ১/১৯)

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০৫ জুন, ২০২১)